![](https://i0.wp.com/motherandchildcarebd.com/wp-content/uploads/2025/01/normal-delivary.jpg?resize=600%2C503&ssl=1)
গত ১৮ অক্টোবর প্রথমবারের মত পুত্রসন্তানের মা হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। নরমাল ডেলিভারি ছিল, এক্সপেরিয়েন্স খুবই ভাল ছিল আল্লাহর রহমতে।
গ্রুপের পোস্ট ফলো করতাম কনসিভ করার পর থেকেই। গ্রুপের পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জেনেছি, শিখেছি। দায়িত্বশীল এবং সবার জন্য অনেক অনেক দু’আ।
আমি দেশের বাইরে থাকি, হাজব্যান্ড ছাড়া ফ্যামিলির কেউ নেই এখানে। একা একা সবটাই ম্যানেজ করতে হয়েছে, হচ্ছে। বোনদের স্টোরি পড়ে অনেক কিছু আগে থেকে জানা থাকার কারনে অযথা সময়ে সময়ে প্যানিক করিনি। এটা আমার জন্য অনেক বড় অ্যাডভান্টেজ ছিল আলহামদুলিল্লাহ।
সবচেয়ে মজার একটা কথা না বলে পারছি না। পুরো প্রেগন্যান্সিতে সবার ওজন বাড়লেও আমার ওজন কমেছে। কনসিভের সময় যা ছিল, ডেলিভারির পর বাসায় এসে দেখি তা থেকে ওজন ৩/৪ কেজি কম। বাচ্চার ওজন, পানি সব ঠিক ছিল আলহামদুলিল্লাহ। তারপরেও আমার এমন হওয়ার কারন হল, কনসিভের পর থেকেই আমি আমার লাইফস্টাইল, বিশেষ করে খাওয়াদাওয়াতে বড় রকমের চেঞ্জ এনেছিলাম যেটা এখন আমাকে খুবই সুফল দিচ্ছে। কনসিভের আগে থেকেই জিমে যেতাম, পরেও বাসায় ওয়ার্কআউট করা কন্টিনিউ করে গেছি। তারমানে এটা ভাববেন না ওয়েট গেইন করাটা খারাপ বরং হেলদি ওয়েট গেইন করাটাই নরমাল। আল্লাহ যাকে যে অবস্থায় উত্তম মনে করেন তাকে তাই দান করেন।
আমি নিজে একজন সার্টিফাইড পার্সোনাল ফিটনেস ট্রেইনার। তাই নিজের খাবারদাবারের ব্যাপারে নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি। আপনারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শে কাজ করবেন।
আল্লাহ আমার সব বোনদের নেক সন্তানের নিয়ামাত দিন। আমার ছেলে এবং পরিবারের জন্য দু’আ করবেন।
আবিদা সুলতানা
রৌদ্রময়ী প্রিনেটাল কোর্সে পার্টিসিপ্যান্ট, ব্যাচ ১৭