সন্তান প্রসবের আগে বের হওয়া পানি ও রক্তের বিধান
প্রশ্নঃ একজন গর্ভবতী নারীর সন্তান প্রসবের দুই বা তিনদিন আগে বের হওয়া তরল, যা পানির মতো পাতলা ধরনের (এমনিওটিক ফ্লুয়িড) তার বিধান কী? এর মানে কী এই যে তখন ওই নারী সালাত পড়তে বা সিয়াম পালন করতে পারবে না?
উত্তরঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
সন্তান প্রসবের আগে একজন গর্ভবতী নারীর থেকে বের হওয়া তরলের ব্যপারেঃ
১. যদি তা রক্ত হয় এবং সন্তান প্রসবের দুই বা তিনদিন আগে বের হয়, সেই সাথে প্রসবব্যথার চিহ্ন যেমন ব্যথা বা কন্ট্রাকশন থাকে, তাহলে তা নিফাসের রক্ত। অন্যথায়, এটা হচ্ছে অনিয়মিত রক্ত যার ফলে তাকে সালাত বা সিয়াম পালন বন্ধ করতে হবে না।
কাশশাফ আল-ক্কিনা'(১/২১৯)-তে বলা হয়েছেঃ সন্তান প্রসবের আগে তিন দিন বা তার কম সময়ের মাঝে যদি একজন গর্ভবতী নারী রক্ত দেখেন যেমনটা প্রসবের সময় বের হয়, সেই সাথে প্রসবব্যথার চিহ্ন যেমন ব্যথা থাকে, তাহলে তা হচ্ছে নিফাস। যেটা এই সময়ের আগে বের হয় তাকে নিফাসকালীন সময়ের মাঝে ধরা হয় না।
২. যদি তা পানি হয়, তাহলে এর বিধান যোনি থেকে নিঃসৃত হওয়া অন্যান্য তরলের মতোই। এটা তাহির মানে পবিত্র কারন এটা জরায়ু থেকে এসেছে, এর ফলে সে সালাত বা সিয়াম পালন করতে পারবে কারন এটা নিফাস হিসাবে ধরা হয় না।
শাইখ ইবনে উসাইমিন (রাহিমাহুল্লাহ)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, সন্তান জন্ম দানের তিন দিন আগে একজন নারীর শরীর থেকে কিছু পানি বের হয়েছিল ও সাথে সামান্য ব্যথা ছিল। এটা কী নিফাস?
তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, এটা নিফাস না কারন নিফাস হচ্ছে রক্ত, পানি না। কিন্তু রক্ত যদি সন্তান প্রসবের অনেক আগেই দেখা যায়, তাহলে তা নিফাস না। কারন নিফাস হচ্ছে সেই রক্ত যা সন্তান প্রসবের সময় বা প্রসবের দুই অথবা তিনদিন আগে দেখা যায় এবং সাথে প্রসবব্যথা থাকে। পানি দেখে গেলে, সেটা নিফাস না। ফাতওয়া নুর ‘আলা আল-দারব।
এবং আল্লাহ ভালো জানেন।
(ফাতওয়াটি অনুবাদ করা হয়েছে। মূল লেখা : Ruling on water and blood that comes before giving birth)
অনুবাদ করেছেন –
রাবেয়া রওশীন,
প্রিনাটাল ইন্সট্রাকটর,
রৌদ্রময়ী স্কুল