Birth trauma is real
কোন পজিটিভ বার্থ স্টোরি সেলিব্রেট করতে আমি যতটা পছন্দ করি, বার্থ ট্রমা সম্পর্কেও আমি ততটাই সচেতন। বার্থ ট্রমা নিয়ে উন্নত দেশে অনেক আলোচনা হলেও এর অস্তিত্ব সম্পর্কেই আমরা ডিনায়াল মোডে থাকি অনেকসময়। আমাদের মানসিকতা এমন যে, বাচ্চা হওয়াতে হলে কষ্ট তো করতেই হবে, এ আর এমন কী! জেন্টল, প্রবৃত্তির অনুসরণ করা লেবার-ডেলিভারি প্রসেস আমাদের ধারণার বাইরে বলা যায়। আর এভাবেই আমরা মা হতে গিয়ে পাওয়া কষ্ট, ব্যাথাগুলোকে নরমালাইয করতে চেষ্টা করি।
কিন্তু যার মানসপটে ট্রমা হিসাবে এই অভিজ্ঞতা গেথে যায় শুধু সেই বোঝে একে একা একা বয়ে বেড়ানোর কষ্ট। সন্তান জন্মদানকে কেন্দ্র করে ট্রমাকে এড্রেস করা বাংলা রিসোর্স সম্পর্কে আমার জানা নেই। তবে ইংলিশে প্রচুর প্রচুর রিসোর্স আছে। তেমনই একটা ছোট্ট এবং সিম্পল টক দেখছিলাম ইউটিউবে।
সন্তান জন্মদানকে কেন্দ্র করে ট্রমা যেন না হয় তার জন্য অবশ্যই প্রধান যে কাজটা করতে হবে তা হচ্ছে এই নিয়ে নিজেকে শিক্ষিত করে তোলা। কিন্তু এরপরও যদি কোন কারণে আপনার ট্রমাটিক অভিজ্ঞতা হয় তারপরও হোপ আছে এটা থেকে বের হয়ে আসার। আলোচনাতে ৪টা সহজ কাজের কথা বলা হয়েছেঃ
১। সন্তান জন্মদানের পর পর্যাপ্ত ঘুমানো। ঘুম আপনার ট্রমাটিক অভিজ্ঞতাকে প্রসেস করতে হেল্প করবে।
২। জেন্টল এক্সারসাইজ করা, হাটাহাটি করা। হেভী ব্যায়াম না।
৩। সুষম পুষ্টি গ্রহণ।
৪। ডেলিভারির ৪-৬ সপ্তাহের মাঝে কারো সাথে নিজের মনের কথাগুলো বলা। তিনি হবেন এমন কেউ যিনি এম্প্যাথি নিয়ে আপনার কথা শুনবেন, জাস্ট শুনবেন।
এগুলো একদম সিম্পল কিছু স্টেপ একটা ট্রমাটিক ডেলিভারির পর নিজেকে ভালো রাখার জন্য যেন আপনি এটা থেকে বের হয়ে আসতে পারেন। প্রায় সময়ই, পরবর্তী একটা সুন্দর লেবার-ডেলিভারি অভিজ্ঞতা আগের ট্রমাটিক অভিজ্ঞতার ক্ষত সারিয়ে তোলে।
Birth trauma is real. নীরবে কষ্ট না পেয়ে একে এড্রেস করা উচিত।
– রাবেয়া রওশীন
প্রিনাটাল ইন্সট্রাক্টর, রৌদ্রময়ী স্কুল