Back

ছোট্মনিদের রমাদান পরিকল্পনা

নিজেদের রমাদান নিয়ে আমরা কত চিন্তিত! আর বাসার ছোট্ট সোনামণিরা? তাদের কী হবে? বাচ্চাদের জন্য মা-বাবা হয়ে আমরা কীভাবে রমাদানকে আনন্দিত করতে পারি?

১. সন্তানদের বয়স এবং মানসিকতা ভেদে রমাদান চেকলিস্ট তৈরি করা–যে চেকলিস্টে তৈরি করা থাকবে, বাচ্চাটার রমাদানে কোন কোন ছোট দোয়া মুখস্থ করবে, ঘরের কোন কোন ভালো কাজগুলো করবে, মায়ের সাথে নিজের খেলনা গুছিয়ে রাখবে, ইত্যাদি।

২. বয়সভেদে অর্ধেক দিন রোজা রাখার উৎসাহ দেব আমরা বাচ্চাদেরকে, আর প্রাপ্তবয়স্ক হলে তো অবশ্যই পূর্ণ রোজা রাখবে।

৩. বাচ্চার চেকলিস্টটা সন্তানের সাথে বসে তৈরি করে দিলে ওদের আগ্রহ বাড়বে। অনেক বড় কিছু হতে হবে না, চার-পাঁচটা কর্মতালিকা বাচ্চার পরিস্থিতি অনুযায়ী যেমন : ছেলে সন্তানরা যেন বাবার সাথে মসজিদে যায়, ইফতারে সাহায্য করে, সারাদিন মারামারি না করে, বয়স অনুযায়ী ইসলামিক বই পড়ে, সিয়াম রাখে, কুরআন পড়ে, ছোট ছোট দুয়া মুখস্ত করে, ইত্যাদি।

৪. লাইলাতুল কদর নিয়েও সন্তানকে উৎসাহী রাখতে হবে। রমাদানের বিষয়গুলো বাচ্চাকে শিখিয়ে, বুঝিয়ে দিলে ওদের জন্য সহজ হবে ইনশাআল্লাহ।

৫. রমাদানে সন্তানদের নিয়ে ঘর সাজানো, রমাদান ক্রাফটিং করা যায়।

৬. সন্তানদের জন্য রমাদানে চেকলিস্টের নেক আমল করলে পুরস্কারের ব্যবস্থা করা।

৭. বাচ্চার হাত দিয়ে বেশি বেশি সাদাকা করানো।

৮. যারা একটু বয়সে বড়, টুইন বা টিনএইজ বাচ্চাদের উৎসাহিত করা যায় পরিবারের ছোট বাচ্চাদের ছোট ছোট সূরা শেখাতে, সূরা ফাতিহা শেখাতে।

৯. যে বোনদের নামাজ নেই–তারা পরিবারের ছোট বাচ্চাদের একটু কোলে রাখলেন, দেখলেন যেন তাদের মায়েরা একটু আরাম করে ফরজ নামাজ/তারাবীহর নামাজ পড়তে পারে।

আল্লাহ তাআলা সবার রমাদানকে বরকতের সাথে সফল করুন। আমিন।

শারিন সফি অদ্রিতা
প্রিনেটাল ইন্সট্রাক্টর, রৌদ্রময়ী স্কুল

#mother_and_childcare_bd

Leave A Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *