অতিরিক্ত গরমে বাচ্চার যত্ন
দেশে প্রচন্ড গরম পড়েছে। এতে অনেক বেশি কষ্ট পাচ্ছে বাচ্চা গুলো। সারাদিন ডিহাইড্রেটেড হয়ে থাকছে। মায়েদের কাছে অনুরোধ, ডিহাইড্রেশনকে ছোট করে দেখবেন না। এটা বড় সমস্যা!
সলিড খাওয়া বাচ্চাদের পানি খাওয়ান। ওরা যতটুকু চায় দিয়ে দিন। মিনিমাম রিকোয়ারমেন্ট থেকে বেশি খাওয়াতে হবে এখন। কারণ এভাবে হচ্ছে না। যেভাবে পারেন পানি খাওয়ান। ফিডারে, পানির পটে, গ্লাসে, স্ট্র দিয়ে, ড্রপার দিয়ে, বাটি চামচে– যেভাবেই হোক পানি খাওয়ান।
বাচ্চারা হিসু করছেনা। ভালো পরিমাণে ক্লিয়ার হিসু হতে হবে। লাল, হলুদ হলে সমস্যা।
আর ছয়মাসের পূর্ববর্তী বয়সী বাচ্চার মায়েদের প্রতি অনুরোধ, বাচ্চাকে বারবার ব্রেস্টফিডিং করবেন। নিজে ৪-৫ লিটার পানি খান।
এই গরমে ছয়মাসের কম বাচ্চাকে কোন তেল পাউডার দিবেন না। ম্যাসাজের জন্য গোসলের আগে এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল/অলিভ অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করে গোসল দিবেন। স্কিন ড্রাই হলে সেই জায়গায় একটু তেল দিতে পারেন। তবে সারাদিন তেল চপচপে করে রাখবেন না। পিঠে, ঘাড়ে, পায়ের চিপায় তেল /পাউডার কিছু দিবেন না।
তেল দিলে বাচ্চা প্রচুর ঘামে। গরম বেশি লাগে। আর পাউডার দিলে শরীরের লোমকূপগুলো বন্ধ হয়ে আর ঘামতে পারেনা ঠিকভাবে। দুটোই ইমব্যালেন্সড। এর মধ্যে ব্যালেন্স করতে হবে তাই। ন্যাচারালি যতটুকু ঘামে ঘামতে দিবেন। বেশি ঘেমে গেলে ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে দিবেন।
তবু ঘামাচি ওঠার সম্ভাবনা আছে মনে হলে ভালো ব্র্যান্ডের বেবি পাউডার দেয়া যায়। তবে খেয়াল রাখবেন পাউডার যেন বাচ্চার শ্বাসের সাথে না যায়। মুখে পাউডার দেয়া থেকে বিরত থাকবেন।
গলা ও শরীরের সব চাপা জায়গাগুলো গোসলের সময় পরিষ্কার করবেন। জায়গাগুলো শুকনো রাখবেন সবসময়। তাহলে র্যাশ হবেনা ইনশাআল্লাহ। লালচে মনে হলে তুলা ভিজিয়ে মুছে এরপর পরিষ্কার নরম শুকনো কাপড়ে মুছে শুকিয়ে নেবেন।
ডায়পার এরিয়ায় লালচে মনে হলেই র্যাশ ক্রিম এপ্লাই করবেন। দিনের কিছু সময় ডায়পার খোলা রাখবেন। ভালো থাকুক বাচ্চাগুলো।
লিখেছেন,
– ডা রুবাইয়া বিনতে রশীদ
বিডিএস
প্রিন্যাটাল কোর্স, ৮ম ব্যাচ