রহমত ও আত্মসমর্পন এর গল্প
- Posted by MNCC Moderator
- Categories Birth Story, Others
- Date April 27, 2024
- Comments 0 comment
আমার প্রথম বাবুর সময় সব পজিশন ঠিকঠাক থাকার পরও ডাক্তারের সিজারের প্রতি অতিমাত্রায় আগ্রহ থাকায় নরমালের জন্য কোন চেষ্টাই করতে পারি নি। তখন অনেক ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি, খাওয়া দাওয়া করেছিলাম নরমালের জন্য। শেষ পর্যন্ত ডেটের ১ সপ্তাহ পর সিজার হয়েছে। তখন মনে হয়েছিল সিজারের কষ্ট নরমালের মতই। কোনটাই কম না।
এরপর আর বাচ্চা নেয়ার সাহস ছিল না। ইচ্ছে ছিল ৫ বছর পর চেষ্টা করব। ততদিনে আর্থিক অবস্থা উন্নতি হলে এক্সপেনসিভ কোন ডাক্তারের কাছে ভি – ব্যাকের জন্য যাব। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছা ছিল ভিন্ন। বাবুর ৮ মাস বয়সে আবার কনসিভ করে ফেলি, আলহামদুলিল্লাহ।
আমি বলেছিলাম ফার্টাইল টাইম আসে নাই। ওনার রাগ হওয়ার কারন ছিল তখন সবেমাত্র নতুন সংসার শুরু করেছি আলাদা বাসায়। আমার দিকে অনেক খেয়াল রাখতে হবে, অনেক খাবার দাবার মেইনটেইন করে খাওয়াতে হবে। অথচ টানাটানির মত অবস্থা। আর আমারও টেনশন হচ্ছিল ২ বাচ্চাকে কিভাবে সামলাবো।
কোনভাবেই মাথায় ঢুকছিল না। যাহোক আল্লাহর ইচ্ছায় ৫-৬ মাস যখন হয় , বাবুটা বড় হয় আরেকটু তখন মনে হতে থাকে যে, ওর জন্য একটা খেলার সাথী আসলেই অনেক দরকার ছিল। ৬ মাসের সময় কি বাবু হবে সেটা জানতে আল্ট্রাসাউন্ড করি। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালা অসম্ভব সুন্দর একটা সুসংবাদ শোনান।
ছেলে বাবু হবে। মেয়ের পর ছেলে। সাথে সাথে ওর বাবা কান্না করে দেন। পাশেই resturant আমাকে খাওয়াতে নিয়ে যান। এরপর থেকে মনে হয় একটু কেয়ার ফুলি চলার চেষ্টা করি। এতদিন কোন খবরই ছিলনা। প্রথমবারে তো যা সচেতনতা মেনে চলতাম, উনি বলতেন, একটা বাচ্চা নিয়েই আমাদের এত পেরেশানি, মানুষ ৮-১০ টা বাচ্চা কিভাবে নিতো আগে? তো আমি তাকে বলি যে, এবার যেমন আমাদের কোন খবরই নেই, সেরকম আর কি!
যাহোক, ৬ মাসের আল্ট্রায় বাচ্চার ব্রিচ পজিশন আসে। একে তো ১৫ মাসের গ্যাপ সিজারের, তার উপর এখন আবার ব্রিচ। মানে নরমালের চিন্তাও অসম্ভব। আমার হিসাব এর গরমিল ছিল। পরে হিসাব করে দেখি ১৭ মাস গ্যাপ। ৮ মাসের দিকে আমি সর্বপ্রথম ডাক্তার চেকাপে যাই। কখন সিজারের জন্য যেতে হবে।
আমার শশুরের হসপিটাল ছিল। সেখানে সিজার করাব। নরমাল করায় না ওখানে তেমন। তো ডাক্তার বলল ডেটের ২ সপ্তাহ আগে যেতে। কেন আগে যাব জিজ্ঞেস করায় বলে, সেলাইয়ের অবস্থা বুঝে যেতে হবে। এরপরই হঠাৎ কেন যেন মনে হয় প্রি – নাটালের নোটগুলো একটু দেখি, ভি – ব্যাকের কথা কি আছে?
ওমা!দেখি ওখানে লেখা ১২ মাসের গ্যাপ আর ২.০০ মিলি স্কার থিকনেস হলেই ভি ব্যাক ট্রায়াল দেয়া যায়। আমি তো খুশি হয়ে গেলাম। এখন স্কার থিকনেস আল্ট্রা করে দেখি ২.৫মিলি এসেছে। ভুল ছিল এটা। সাধারণ হসপিটালে করেছিলাম। এরপর মুনিরা ফেরদৌসকে দেখাই, উনি বলে ল্যবএইডে আল্ট্রা করতে। ওখানে কেন যে আল্ট্রা এর রেট ৪০০০ টাকা চাইল মাথাতেই ধরল না আমার। পরে ইবনে সিনায় করাই।
তো শশুরের হসপিটাল যেহেতু ডাক্তার তো যেভাবে বলা হবে সেভাবেই করবে। কিন্তু দক্ষতা তো আসল জিনিস। এজন্য আমার মন সায় দিচ্ছিল না। কারন উনি ভি ব্যাক করেন নি কখনো। এজন্য দক্ষ ডাক্তার খুজছিলাম। সবই আল্লাহর রহমত। ইউটিউবে ঘাটাঘাটি করতে করতে একটা ভিডিও আসল আশুলিয়া নারী ও শিশু হসপিটালে সিজারিয়ান হার ৭০% কমেছে। আরেকটা ভিডিও এখন টিভি তে প্রচার হয়েছে, সাক্ষাৎকার ছিল সেটা। তো এই ভিডিওটা বারবার আসলেও বড় হওয়ায় দেখা হয় নি।
ওদিকে হাসবেন্ড দেখে ফেলেছে। উনি আমাকে বলছেন এখানে নাকি নরমালের পর সিজার হয়।ভি ব্যাক সম্পর্কে ওনার জানা ছিল না। এজন্য উনি অনেক অবাক হয়েছিলেন। যা হোক পুরো ভিডিওটা দেখে এত এত শান্তি লাগল, ওখানে ভি ব্যাকের জন্য পুরো দক্ষ একটা টিম সব সময় কাজ করে একজন হেড ডাক্তারের আন্ডারে।
২৪ ঘন্টা এমবিবিএস এফসিপিএস গাইনি ডাক্তার থাকেন। এনস্থেথিস্ট থাকেন, সিটিজি মেশিনে সারাক্ষণ চেক করা হয়। তাদের একটা গ্রুপ আছে মেসেঞ্জারে, সেখানে কোন রোগীর কি অবস্থা সব সময় আপডেট দেয়া হতে থাকে,হেড ডাক্তার রিতা ম্যাডাম সব সময় ইন্সট্রাক্টশন দিতে থাকেন।
সবাই সেখানে পরামর্শ ভিত্তিক কাজ করে। আসলেও তাই। ওখানে কেউ চাইলেও সিজার করবে না ওরা। হাত পা ধরে কান্না কাটি করেও লাভ নেই। যেমন আমি করেছিলাম।যতক্ষণ এক পার্সেন্ট সম্ভাবনা থাকে ওরা ট্রাই করবেই। মাশাল্লাহ। বাংলাদেশের আর কোন হসপিটালে এরকম আছে কিনা আমার জানা নেই। পরিবেশও খুব ভালো। যা হোক,এবার আমার কথায় আসি। ডাক্তারের কাছে চেকাপে গেলাম। রিতা ম্যাম, খুবই হাসিখুশী মানুষ, মিশুক।
প্রি – নাটাল কোর্স করেছি শুনে খুশি হয়েছেন খুব। কোথায় করেছি তার নাম লিখে নিয়েছেন। উনি বললেন আল্ট্রা করে ১ সপ্তাহ পর আসতে। সেবার বানিজ্য মেলায় গিয়ে ৪ ঘন্টা হাটা হয়েছিল। তো এরপরের বার ১১ তারিখ চেকাপে গেলে বললেন হেড এনগেজড, স্কার এসেছে ৫.৪ মি.মি। মেমব্রেন সুইপ করে দিলেন। হাটাহাটি করতে বললেন। ২ সপ্তাহ ধরে হাটা শুরু করেছি। এবার বাসায় এসে প্রতিদিন স্কোয়াট ৫০–১০০বার, ডাকওয়াক ৫০ বার, মাইলস সার্কিট (১ বার), হিপ রোটেট করেছি।।অনেক ফলস পেইন উঠে।
১৬ ফেব্রুয়ারি ছিল ইডিডি। এত হাটাহাটি করছি পেইনে কোন উন্নতি নেই। আল্লাহর কাছে প্রচুর কান্নাকাটি করেছি। ২১ ফেব্রুয়ারিতে ডাক্তার বসেন না, ১৯ তারিখে বসলে আবার ১ সপ্তাহ পর বসবেন। এজন্য এটাই ছিল যাওয়ার একদম লাস্ট ডেট। ও,, আরেক কথা, এতদিনে বাচ্চার ওজন বেড়ে ৩.৭ কেজি হয়ে গেছে। আমি তো শেষ ভয়ে।৪ কেজি হলে তো আর করবে না হয়ত। এজন্য খাওয়া দাওয়া সব বন্ধ করে দিয়েছি।
শুধু সবজি আর ফল, অল্প কার্ব খাই, দুধ-ডিম খাই। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগের দিন প্রচুর হেটেছি। আমার বাসাটা লম্বাটে। ২০,কদম হাটা যায় একবারে। তো প্রায় দৌড়ের মত করে ১০ মিনিট, ১০ মিনিট এভাবে ৩ বারে হেটেছি পাগলের মত। সারাদিন হাটা তো আছেই। এরপর হসপিটাল ব্যাগ গুছিয়ে রেখে ডাক্তারের কাছে গেলাম খিলক্ষেত থেকে আশুলিয়া জামগড়ায় ২ ঘন্টার রাস্তা। আমার বাবার বাসাা অবশ্য আশুলিয়ায়।তো ডাক্তার পিভি চেক করে বললেল ১.৫ সেমি খুলেছে জরায়ু, ভর্তি হয়ে যেতে। হয়ে গেলাম ভর্তি। রাত ৮ টায় জরায়ু মুখে বেলুন পরাল। বেলুনটা পরে গেলে সাথে সাথে জানাতে বলল। এটাকে আইসিসি বলে। বেলুন টা পড়ে যাওয়া মানে জরায়ু মুখ খুলেছে আরও।সম্ভবত ৩ সেমি খোলা হলে পড়ে যাবে, আবছা আবছা এতটুকু শুনেছি। এরপর শুরু হল আমার ব্যাথ। ৫ মিনিট পরপর ৪৫-৫৬ সেকেন্ড ব্যাথা। মোটামুটি সহনীয়। ঐ সময় ডিপ ব্রিদ করে আারাম পেয়েছিলাম। হাটাহাটি করছিলাম, খেজুর, পানি খাচ্ছিলাম,কলা,রুটি, কেক পছন্দ করতাম,কেক খাচ্ছিলাম।
সারারাত গেল, এরপর সারাদিন গেল, আমার বেলুন পড়ল না। এর মাঝে ব্লাডি শো পড়ে গেল। ব্যাথার ডিউরেশনও কমে গেল। ১০ মিনিট পরপর ব্যাথা আসতে থাকল। আমি হতাশ হয়ে গেলাম। ২৪ ঘন্টা হওয়ার পর ওখানের ডাক্তারদের কাছে গিয়ে কেদে দিলাম যে। এখনও পড়ছে না। এত ব্যাথায়। আর মনে হয় হবে না। ওরা শান্তনা দিল, পড়বে বলল। আস্তে আস্তে ব্যাথা তীব্র হতে শুরু করল। এত ব্যাথা, এত ব্যাথা। আর পারছিলাম না। হাসবেন্ডকে ফোন দিলাম। সকালে একবার ফোন দিয়ে কেদে কেদে বলেছিলাম সিজার করিয়ে ফেলতে, রাজি হয় নি।
আম্মুও ছিল, কিন্তু আম্মুকে বলি নি, কারন আম্মুকে বললে আম্মু সত্যি সত্যি সিজারের ব্যবাস্থা করত। তো রাতের বেলায় হাসবেন্ডের কাছে কাঁদতে কাদতে অস্থির হয়ে গেলাম। সাক্ষাৎ রুমে বসে বসে রিকুয়েষ্ট করছিলাম। ওনার মন গলে গিয়েছিল। এর মাঝে কয়কবার ব্যাথায় আসল, ওনার হাত চেপে ধরে ব্যাথা সামাল দিচ্ছিলাম, চাপের চোটে হয়ত তীব্রতা কিছু আচ করতে পেরেছেন। তাই রাজি হলেন,তখন রাত বাজে ১২ টা। ডাক্তাররা ওটিতে আছেন ওটি থেকে এসে ওনার সাথে কথা বলে বুঝালেন, বেলুনটা কাল সকাল পর্যন্ত থাকুক, পড়ে গেলে এরপর দেখা যাবে কি করা যায়। সব ডাক্তাররা আসুক। এ কথা শুনে উনি চলে গেলেন আমি তো ব্যাথায় চিল্লাতে চিল্লাতে কাঁদতে কাদতে শেষ। রাত ২ টায় আবার ফেন দিলাম ওনাকে, প্লিজ আমাকে আর কষ্ট দিয়েন না। কি লাভ কষ্ট দিয়ে! সারাটা রাত আমি কিভাবে থাকব! একটু চিন্তা করেন,”।উনি কেবিন থেকে আম্মুকে পাঠালেন এই বলে যে, এত রাতে সিজার করলে ডাক্তাররা ঘুমের কারনে ভুল হতে পারে, একটু ধৈর্য ধরতে। আমি তো আম্মুকে বকতে বকতে শেষ। ডাক্তাররা তো ঘুমিয়েই আসে ডিউটিতে। এগুলো কেমন কথা!যাহোক, আম্মির শরীর ভীষণ খারাপ হওয়ায় আর থাকতে পারছিলেন না আমার পাশে।সারাটা রাত ব্যাথায় চিল্লালাম। সকাল ৫:৩০ এ সিটিজি করানোর জন্য প্রস্রাব করে আসতে বলল।গেলাম আর বেলুনটা খুলে পড়ল। আলহামদুলিল্লাহ। আর আমার অবস্থা হল- যতই বেলুন পড়ুক আমি সিজার করবই। ফজরের সময় ডাক্তার পিভি করে বললেন ৬ সেমি. আমি তো অবাক।কেমনে কি! যাহোক,সব ডাক্তার আসার জন্য অপেক্ষা করছি সিজারের সিদ্ধান্ত শোনার জন্য। ডাক্তাররা আসতে আসতে ব্যাথায় আমার অবস্থা শেষ। স্টেশন -৩ বলছে। একটু পর বলল ৮ সেমি..। আর সেলাইয়ের অবস্থা জিজ্ঞেস করছে বারবার।
এখন কোনটা যে সেলাই ব্যাথা তাও বুঝি না।ভ্যাজাইনার উপর ব্যাথা করছে। ডাক্তাররা বলেছিলেন ৮ টার মধ্যে হয়ে যাবে। ব্যায়াম করাতে বললেন। কন্ট্রাকশন ৩ মিনিট গ্যাপে আসছিল। ব্যায়াম কয়েক বার করতেই মাথা নীচে এসে গেল একদম। শুয়ে পড়লাম বিছানায়। নিয়ে গেল লেবার রুমে। সেখানে ডাক্তার বললেন ব্যাথা আসলে চাপ দিতে। দুনিয়ার সব শক্তি একসাথে করে চাপ দিলাম। বের হল না। ব্যাথাই আসে না এখন। এরপর আবার দিলাম, মনে হল যে বের হয়ে যাবে, হল না। টিয়ার হল, তারপর ডাক্তাররা ভেন্টুস দিয়ে বের করলেন ৩.৫ কেজি ওজনের ছেলে বাবু। ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯:৩০ এ বাবু হল। সেলাই করে দিলেন লোকাল এনেস্থিসিয়া দিয়ে।
আর ওদিকে আমার হাজবেন্ড কেবিন থেকে মাকে পাঠালেন ডাক্তার এসেছে কিনা চেক করতে, সিজারের কথা বলবেন, এসে শুনেন বাবু হয়ে গেছে, কি আর বলব তাদের অনুভূতির কথা! যাহোক, আল্লাহর এত এত রহমত ছিল আমার উপর,আল্লাহর কাছে চাইলে যে তিনি নিরাশ করেন না তার বড় প্রমান আমি। আগে তো ভি ব্যাক চেয়েছিলাম, এরপর ব্যাথার তীব্রতা দেখে আমার মায়ের কান্নাকাটি আল্লাহ তায়ালা ফিরিয়ে দেন নি, শেষ মুহূর্তে এসে এত দ্রুত সব হয়ে গেছে কল্পনার বাহিরে। আলহামদুলিল্লাহ।
এবার শুরু থেকে একটা বিশ্বাসই ছিল যে,আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কোন কিছু হয় না।
সব ঠিক থাকার পরও কারও সিজার করতে হয়, আবার হাজার সমস্যা নিয়ে ও অনেকের নরমাল হয়। একমাত্র রবের ফায়সালাই দিনশেষে কার্যকর। এজন্য চেষ্টা যাই করি না কেন ফায়সালাদাতার দিকে তাওয়াজ্জুহ হওয়া আবশ্যক।
যারা ভিব্যাক প্রত্যাশী নির্দ্বিধায় এখানে যেতে পারেন, ১%সম্ভাবনা থাকলেও ওরা চেষ্টা করে। যেকোনো জায়গা থেকে আশুলিয়ার জামগড়া সরকারবাড়ী নামলেই রাস্তার পাশে বিশাল হসপিটাল।
উম্ম মুহাম্মাদ
রৌদ্রময়ী প্রিনেটাল কোর্স পার্টিসিপ্যান্ট, ব্যাচ ৭
Other post
You may also like
যৌথ পরিবারে নতুন মায়ের জন্য টিপস
১।অনেকগুলো একক পরিবার যখন একসঙ্গে থাকে তখন সেটা একটা প্রতিষ্ঠানের মত হয়ে যায়, সেখানে সবার আলাদা কিছু দায়িত্ব থাকে এবং ছকে বাঁধা কিছু নিয়মও থাকে। একক পরিবারে আমরা নিজের মত কিছু ফ্লেক্সিবিলিটি পাই যা যৌথ পরিবারে অনেক সময়ে পাওয়া যায় …
ডিউ ডেটের পর আমার ৩য় নরমাল ডেলিভারির গল্প
১।আমার এবারের প্রেগন্যান্সিটা ফিজিক্যালি, মেন্টালি বেশি স্ট্রেস্ফুল ছিল। ৬মাস রেগুলার এয়ারপোর্ট থেকে ঢাকা মেডিক্যাল ডিউটি, বড় দুইটার দেখাশোনা, ইমোশনাল ব্রেক ডাউন – সব মিলিয়ে একটু কম যত্ন নিয়েছিলাম নিজের৷ আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ সেসব দিন পার করে দিয়েছেন। আমার ইডিডি ছিল ২২/২/২৪। …
যেভাবে সন্তানকে ভালো রাখা যায়
আমার বাচ্চাটাকে কানাডাতে আলহা’মদুলিল্লাহ এখন পর্যন্ত রব্বুল আ’লামীন হিফাজতে রেখেছেন। আমি সাধারণত আমার বাচ্চাকে নিয়ে কখনও গর্ব করি না, তার ছবি পোস্ট করি না, খুব একটা কিছু লিখিও না। আল্লাহর আমানত, আমার অহংকার করার কিচ্ছু নাই। আজকে লিখছি, একটা বাচ্চা …