Back

দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩০-৪২ °c পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠানামা করছে। ছোট বড় সবাই গরমে নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ভারনারেবল অবস্থায় থাকেন হবু মায়েরা।হরমোনাল চেঞ্জ এর জন্যে তাদের অন্যদের তুলনায় বেশি গরম লাগে!

কিছু নিয়ম ফলো করলে, তাদের প্রেগ্ন্যাসির জার্নিটা সহজ হতে পারে এই গরমেও!

◾পানি বেশি করে পান করুন।
একদম ঠান্ডা পানি পান করা পরিহার করুন।
বরফ/বরফ পানি পুরোপুরিভাবে পরিহার করুন।
খুব ঠান্ডা পানি পান করলে রক্তনালী হঠাৎ সঙ্কুচিত হয়ে স্ট্রোক হতে পারে।

চাইলে এক গ্লাস পানিতে একটা আইস কিউব মেশাতে পারেন।

পানি ঠান্ডা রাখতে প্রাচীন পদ্ধতিতে মাটির কলসি ব্যবহার করতে পারেন।

◾কর্মজীবী মায়েরা, যখন বাহিরের তাপমাত্রা ৩৮°সে তখন অবশ্যই ছায়ায় থাকবেন। নাহলে হিট স্ট্রোকের আশংকা থাকে।

◾বাইরে গেলে, বাসায় এসেই হাত-পা-মুখ ধুবেন না। একটু অপেক্ষা করে দেহকে ঘরের তাপের সাথে খাপ খাওয়ানোর অন্তত আধা ঘন্টা পর ফ্রেশ হতে হবে।

সারাদিনে যখনই গরম লাগবে,
পানিতে কাপড় ভিজিয়ে গা মুছে, মুখে পানির ঝাপটা দিলে আরাম পাওয়া যাবে।

◾অল্প অল্প করে কিছুক্ষণ পর পর স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি পান করুন। বাইরের জ্যুস বা এই জাতীয় পানীয় পরিহার করুন।

স্বাভাবিক শরবত, লেবুর শরবত, ডাব, লবণ পানির শরবত পান করা যাবে। যদি কোন কারণে নিষেধ হয়ে থাকে তাহলে ডাক্তার/নিউট্রিশনিস্ট এর পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে।

◾বাইরে গেলে হালকা রঙের ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে। আঁটোসাটো পোশাক পরলে গরম বেশি লাগবে।
বাসায় নরম, ঢিলেঢালা পোশাক নির্বাচন করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

◾ রাতে ঘুমানোর আগে পোশাক পালটে, গা মুছে নিলে ঘুমাতে আরাম হবে।
ঘাড়ে ২/৩ আজলা পানি দেয়া যায় তাহলে মাইগ্রেন/মাথা ব্যথায় আরাম হয়।

◾খাওয়ার জন্যে সহজপাচ্য, কম তেল মশলার খাবার বেছে নিতে হবে।

ভাজাপোড়া, তেল মশলা, রিচ ফুড খেলে গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা, বুক জ্বালাপোড়া, বমিভাব বেড়ে যায়।

কিছু সহজ নিয়মকানুন মেনে চললে, প্রেগন্যান্সির জার্নিটা সহজ হয়ে যায় আলহামদুলিল্লাহ।

আল্লাহ সকল মায়েদের জীবন সহজ করুন
চক্ষুশীতলকারী সন্তান দান করুন,আমিন।

নিজে জ্ঞানার্জন করুন এবং অন্যকেও জানান।

নিউট্রিশনিস্ট ফারিয়া আবেদীন রাফা
রৌদ্রময়ী অনলাইন ক্লিনিক