একটি রেইনবো বাবুর গল্প
- Posted by MNCC Moderator
- Categories Birth Story, Others
- Date October 14, 2023
- Comments 0 comment
প্রতিটা নিয়ামাহ’র পেছনে থাকে সবরের গল্প, অসংখ্য প্রতীক্ষার প্রহর। আল্লাহ সুবহানাহু ও’তায়ালা বান্দাকে প্রস্তুত করে নেন,কোন প্রেশাস গিফট পাঠানোর আগে। ঠিক একবছর আগে তিন মাসের মাথায় মিসক্যারেজের ধাক্কা সামলাতে বেশ হিমশিম খেতে হয়েছিলো।
কনসালটেশন এ ডাক্তার ম্যাম সুন্দর একটা কথা বলেছিলেন,আল্লাহ তায়ালার এ দুনিয়ায় অস্বাভাবিক ত্রুটি নিয়ে অর্থাৎ জন্মগত ত্রুটির মানুষ স্বাভাবিকের তুলনায় কম মানুষই দেখতে পাই আমরা,জিনগত ত্রুটির কারনে মাতৃগর্ভেই অনেক ভ্রূণ মারা যায়। পরবর্তী মা কোন প্রিকশন না নিয়েও স্বাভাবিক সুস্হ সন্তান জন্ম দিতে পারে। ম্যামের এ ইতিবাচক মন্তব্যে বেশ স্বান্তনা খুঁজে পেয়েছিলাম। বিশ্বাস জন্মেছিলো পরবর্তীতে ইনশাআল্লাহ সুস্থ্য সন্তানের মা হতে পারব।
আগের টার্মে রক্তে সুগারের পরিমাণ অনিয়ন্ত্রিত ছিলো,নিউট্রিশনের ব্যাপারে অমনোযোগী ছিলাম।তাছাড়া, মিরক্যারেজের পর রক্তশূন্যতা, স্কিন প্রবলেম,দূর্বলতা কাটিয়ে ওঠা চ্যালেঞ্জিং ছিলো। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্ব ও সুগার ইনটেক শূন্যের কোঠায় নিয়ে এসেছিলাম।ছোটবেলা খাবারে খুুব বাছাবাছি করতাম,মাছ খেতাম না,মাংসও সবধরনের খেতাম না,সবজি অনেক পছন্দ করতাম। তারপর,দীর্ঘ পাঁচ বছরের হল জীবনে ব্যালেন্সড ডায়েট করা হয়নি,যার ফলে প্রেগেন্যান্সির জন্য শরীর পুরো ফিট ছিলো না।প্রথম অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনার পর নিউট্রিশনের প্রতি ফোকাস করি সচেতনভাবে।
প্রতিদিন নতুন মাছ খাওয়া শিখেছি,মুরগীর কলিজা অপছন্দের ছিলো,তাও খেয়েছি উপভোগ করার চেষ্টা করেছি যদিও অনেক সময়ই খেতে ইচ্ছা করতো না।কোর্সে প্রোটিন ইনটেকের উপর জোর দেওয়ায় ৩য় ট্রাইমিস্টারে আরো মনোযোগী হয়েছিলাম।
ভিটামিন-বি এর জন্য ২য় ট্রাইমিস্টারে সপ্তাহে দু-তিন দিন কলিজা খেতাম, ইলিশ মাছ সুপার ফুড হিসেবে খেয়েছি। এছাড়া,বাদাম, টকদই,ডাবের পানি,ডালিম,পরিমিত পানি খেয়েছি। রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহার করায় গ্যাসের সমস্যাও হয়নি আলহামদুলিল্লাহ।
শরীরকে ফিট রাখতে সকালবেলা হাটতে যেতাম, যেটা মনকেও ফ্রেশ রাখতো প্রেগন্যান্সিকালীন ডিপ্রেশন, মুড সুইং হ্যান্ডেল করতে বেশ কাজ করেছে।আর এ সময়ে প্রিয় ওয়ার্কআউট ছিলো স্কোয়াট, শেষের দিকে স্কোয়াটের পরিমাণ আরো বাড়িয়ে দিয়েছিলাম।কেগেল ও রিলাক্সেশন ও করেছি। পড়ার টেবিলের দেয়ালে চেকলিষ্ট ছিলো,একটা একটা টিক মার্ক দিয়ে সব কমপ্লিট করার পর আনন্দের অনুভূতি হতো।আরেকটা কাজ খুউব ভাল লাগতো,রোদে বসতে,ভিটামিন-ডি তৈরি ছাড়াও মন ভাল করতে,রাতে ঘুম ভাল হতে এর জুড়ি নেই।আমার পার্টনারের কাছে শুনেছিলাম,শীতপ্রধান দেশে সূর্যের আলোর কতো কদর,ওরা কৃত্রিম আলো পর্যন্ত ব্যবহার করতো ডিপ্রেশন কাটাতে।
জেলা সদরে ডাক্তার হিসেবে ম্যাম ছিলেন এফসিপিএস, যদিও পরিবারে প্ল্যান ছিলো সদর হসপিটালে ডেলিভারী হবে।সেখান দায়িত্ব প্রাপ্ত নার্সরাই ডেলিভারী করে থাকেন।সাধারণত এখানে ডাক্তাররা নর্মাল ডেলিভারীর অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেন না বা বাইরের মতো মিড-ওয়াইফ নেই।প্রি-নেটাল কোর্স করার সময় তবুও মনে হয়েছে,যদি লেবারের সময় যারা থাকবেন, আগে যদি কথা বলা যেতো।সরকারী হসপিটালে শিফট চেইঞ্জ হয়,নানা কারনে ডেলিভারী এক্সপেরিয়েন্স কেমন চাই,তা নিয়ে কথা বলতে পারিনি।তিনবার চেক-আপ,আল্ট্রায় সবকিছু স্বাভাবিক থাকায় ম্যাম লেবারের লক্ষণ দেখা দিলে,হসপিটালে আসতে বলেন।
আল্ট্রায় তিনবার কাছাকাছি তিনটা ডেইট আসে, যার একটিও আমার পিরিয়ডের ডেইটের সাথে মিল ছিলো না। আল্ট্রার দেয়া ডেইটের একদিন আগেই ভোররাত থেকে ব্র্যাক্সটন হিক্সের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিলো,ফজরের সলাতের পর কিছুক্ষণ শুয়ে কিছুতেই রিলাক্স লাগছিলো না।আটটার দিকে আরো বেশী ডিসকম্ফোর্ট লাগা শুরু করে,কিছুটা ব্যথা শুরু হয় যেটা বেশ গ্যাপ দিয়ে দিয়ে ২০/৩০মিনিট পর পর আসে,তবে সহনীয়, আস্তে আস্তে সময়ের ব্যবধান কমে আসছে বুঝতে পেরে,বাসায় বলি হসপিটালের যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে, গাড়ি ঠিক করতে। নিজে গোসল করে,খাবার খেয়ে নেই।
সকাল ১০টার দিকে বের হই হসপিটাল ব্যাগ নিয়ে, পথে ব্যথার গ্যাপ ৫মিনিটে নেমে আসে।
প্রথম কয়েক ঘন্টা ব্যাথার সময় একাই দাড়িয়ে থাকতে পেরেছি, ব্যাথা সহনীয় পর্যায় ছিলো, পরবর্তী ব্যাথার সময় সাপোর্ট পারসনকে ধরে দাড়িয়ে ছিলাম,এ সময়ে কোমর ও স্পাইনে ম্যাসাজ খুউব আরামদায়ক ছিলো ব্যথাকে সহ্য করতে।পরবর্তীতে ব্যথা আসার সময় কমতে থাকে, হেঁটে দাড়িয়ে কিছু ধরে সাপোর্ট নিয়ে পেইন ম্যানেজ করতে পেরেছি। ফাঁকেফাঁকে পানি খেয়েছি,খেজুর খেয়েছি। দুপুরের পর থেকে লেবার রুমের ঘড়িতে প্রতিটা ঘন্টা এতো দীর্ঘ মনে হচ্ছিলো।এসময় দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্স পিভি চেক করে বললেন, সার্ভিক্স মাত্র এক আঙ্গুল খুলেছে, সন্ধ্যায় ডেলিভারী হবে। মাগরিবের সময় হয়ে আসে,ব্যথার তীব্রতায় গোঙানি এসে যাচ্ছিলো।এসময় পাশের বেডের একবোনের খুউব তাড়াতাড়ি ডেলিভারী হয়ে যায়,ব্যথা কম হলেও সার্ভিক্স খুলে গিয়েছিলো।
আমি ইস্তেগফার জপতে জপতে আল্লাহর কাছে নিজেকে সঁপে দেই, রিলাক্সেশন করার চেষ্টা করি।প্রি-নেটাল ক্লাসে যেমনটা ক্লাস ইনস্ট্রাক্টর বলেছিলেন,ব্যথার কাছে নিজে সঁপে দেওয়া, ফ্লো কে বাধাগ্রস্ত না করা।কিন্তু, দীর্ঘ এ সময় সকাল থেকে সন্ধ্যা ব্যথার প্রহরে স্বজনরা উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেন,এসময় নার্স আশেপাশের সবাই চিত করে শুয়ে দিতে বলেন,মুখ বন্ধ করে ব্যথার সাথে পুশ করতে। প্রি-নেটাল ক্লাসে আপুরা বলেছিলেন,প্রচলিত কিছু বিষয়ে যদি ছাড় দিতে হয়,মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম সেজন্য।সাপোর্ট পার্সন হিসেবে শাশুড়ি আম্মা ছিলেন সবসময়, কিন্তু কিছু বিষয় তাঁর সাথে ডিল করা সম্ভব ছিলো না।আমার স্বামী চাকুরীর পড়াশোনার কারনে কিছু বিষয়ে কমিউনিকেশন গ্যাপ ছিলো।পরবর্তীতে, এ বিষয়ে কথা বলার সময়, সে বলেছিলো, ডেলিভারীতে যে প্রচলিত অনেক বিষয় গর্ভবতীর জন্য অসুবিধাজনক ছিলো তা ওর ধারনায় ছিলো না।
যাই হোক, বেডে শুইয়ে দেওয়ার পর আমি পেন ম্যানেজ করতে পারছিলাম না।হঠাত করেই লেবার পেইন আশঙ্কাজনক হারে কমে গেলো। প্রবীণ নার্স উদ্বিগ্ন হয়ে উঠলেন,পিভি চেক করে দেখা গেলো দুই আঙ্গুল খুলেছে মাত্র, বেবীর মাথা দেখা যায়।পিভি চেকের বিষয়টাও একটু কষ্টকর ছিলো,হসপিটালে বারবার চেক করার কারনে লেবার কিছুটা ব্যথা প্রাপ্ত হয়েছে,যদিও আমি রিলাক্স থাকার চেষ্টা করেছি।
প্রি-নেটাল ক্লাসে হাইড্রেটেট থাকার পরামর্শ, দারুণ কাজে লেগেছে। পাশাপাশি খেজুর মিরাকলের মতো কাজ করেছে,সকাল থেকে রাত দশটার প্রসবযুদ্ধে স্টামিনা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলাম আলহামদুলিল্লাহ।
শেষের দিকে ব্যথার তীব্রতায় ব্যথার অনুভব শক্তিই যেন হারিয়ে গিয়েছিলো।এসময়টাই মনে হচ্ছিলো, আমি হয়তো আর পারব না,আমাকে কেউ মেরে ফেলতো,প্রতিটা মিনিট এতো সুদীর্ঘ লাগছিলো…আরেকটা বিষয় যেটা আমার শক্তি হ্রাস করে দিয়েছিলো তৃতীয় একজন নার্স হঠাত বললেন,বেবীর মিউকাস বের হয়ে গেছে,অবস্থা আশঙ্কাজনক।এমন একটা সিচুয়েশন, বেবী মাথা সার্ভিক্সে এসে রয়েছে,তবুও নামছে না আবার এসময় সিজারিয়ানও সম্ভব নয়।আশেপাশের স্বজনদের মুখ কেমন আঁধার হয়ে গিয়েছে,আমারও হঠাত যেন সব শক্তি হ্রাস হয়ে প্যানিক এটাক হবে এমন ফিল হচ্ছিলো। শুধু ইস্তেগফার আর আশেপাশে কেউ দুআ ইউনুস পড়ছিলো,আশা-নিরাশার শেষ মুহূর্তে আল্লাহ তায়ালা কেমন করে যেন সাহলকে কোলে দিলেন, তখন সম্বিত ফিরে পেলাম।এর আগমুহূর্তে যে এপিসিওটমি করা হয়েছে তাও অনুভব হয়নি,সেলাইয়ের সময় কষ্ট লাগছিলো সাথে অসম্ভব কাঁপুনি সারাশরীর জুড়ে।
প্রি-নেটাল ক্লাসে ভর্তি হয়েছিলাম প্রায় শেষ ট্রাইমিস্টারের দিকে,লেবার প্রস্তুতি উপর ক্লাসের পরের দিনই ডেলিভারী। যদিও আগের রেকর্ডিং ক্লাস শুনে প্রিপারেশন নিয়েছিলাম।প্রথম প্রেগেন্যান্সিতে মিসক্যারেজের পর প্রেগেন্যান্সি,নিউট্রিশন,স্বাস্থ্য নিয়ে পড়াশোনা করছিলাম,অনলাইন -অফলাইনে নানা সোর্স হতে।কিন্তু, এ কোর্সটি হাতের কাছে গোছানো ফুল-প্যাকেজ বলা যায়।কোর্সর ফি’র তুলনায় পুরো দশটি ক্লাসে যা প্রাপ্তি তা আসলেই অতুলনীয়।পাশাপাশি, সার্বক্ষণিক আপুদের থেকে পরামর্শ পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।
পোষ্ট-প্রেগন্যান্সিকালীন সময়ে নিজের যত্নে,মানসিক স্বাস্হ্য ভাল রাখতে, নবজাতকের যত্নে এ কোর্স থেকে দারুণ উপকৃত হয়েছি।বিশেষ করে শেষ ক্লাসটি ছিলো, ঔষুধের মতো।
প্রসব পরবর্তী আশেপাশের কিংবা কাছের অনেকের অনেক কথা মনে আঘাত দিয়েছে, সে কথা ইগনোর করতে শিখেছি।
পোষ্ট-নেটাল সময় বিশেষ করে ফোর্থ ট্রাইমিস্টারে নিজের যত্নের ব্যাপারে সচেতন হয়েছি। ব্রেস্টফিডিং টাইম আরেক সবরের অধ্যায়,আমার শরীর সবকিছু ফিট থাকার পরও লেবারের ধাক্কায় প্রথম তিনদিন দুধ তৈরি পর্যাপ্ত হচ্ছিলো না। আশেপাশের মানুষের কথা,উদ্বিগ্নতা, মানসিক চাপ সহ্য করেও নিজের উপর কনফিডেন্স ধরে রাখতে পেরেছিলাম। কালোজিরা,লাউ, প্রচুর পানি জাতীয় খাবার খেয়েছি,আর বাবুকে বারবার সাক করিয়েছি। ফর্মুলা দিতে হয়নি আলহামদুলিল্লাহ, প্রথম দুদিন কষ্ট হলেও পরবর্তীতে পর্যাপ্ত দুধ পেয়েছে ও।
আরেকটা বিষয় প্রি-নেটাল কোর্সের স্পিরিচুয়াল দিক, ক্লাসে ইন্সট্রাকটর আপু সূরা লুকমানের সেই আয়াতে কারীমা, যেখানে স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা মায়েদের কষ্টের কথা স্বীকৃতি দিয়েছেন,
“তার মা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে…” আশেপাশের মানুষ যতই সঠিক মূল্যায়ন না করুক, না বুঝে মন্তব্য করুক না কেন, আল্লাহ তায়ালা তো দেখছেন মায়েদের কষ্ট, এরচে’ প্রশান্তি কী হতে পারে, স্বান্তনার আর কি ভাষা হতে পারে। আরেকটা সুন্দর লেসন পেয়েছিলাম, ওরিয়েন্টেশন ক্লাসে সর্বপ্রথম নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারা, সামলাতে পারার শিক্ষা। কেউ হয়তো আমার দিকে যত্নবান হচ্ছে না, মনোযোগী হচ্ছে না, এ অভিযোগে ব্যথায় জর্জরিত না হয়ে, আগে নিজের প্রতি যত্নবান হওয়া।
প্রেগ্ন্যান্সিকালীন সময় পেরিয়ে এখন প্রসব পরবর্তী সময় আরো চ্যালেঞ্জিং মনে হয়, কখনো রাত-জাগা, আধো আধো বোলে শিশুর লালেবাই, প্রতিদিন নতুন অভিব্যক্তি জীবনে অন্যতম সুন্দর মুহূর্ত।
– উম্ম সাহাল
প্রিনাটাল স্টুডেন্ট, ৬ষ্ঠ ব্যাচ
Other post
You may also like
হাসপাতালে ন্যাচারাল বার্থ সম্ভব: একজন মায়ের অনুপ্রেরণামূলক গল্প
আমি একজন দৌলা হিসেবে আজ একটি অনুপ্রেরণাদায়ক গল্প শেয়ার করতে চাই। আমার ক্লায়েন্ট আফরোজা আপুর ডেলিভারির অভিজ্ঞতা দিয়ে প্রমাণ করেছেন যে, সঠিক প্রস্তুতি ও মানসিক দৃঢ়তা থাকলে হাসপাতালে ন্যাচারাল বার্থ সম্ভব।আফরোজা আপু ন্যাচারাল বার্থের প্রতি খুব আগ্রহী ছিলেন। তার স্বামীও …
নরমাল ডেলিভারি: খুবই ভালো অভিজ্ঞতা
গত ১৮ অক্টোবর প্রথমবারের মত পুত্রসন্তানের মা হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। নরমাল ডেলিভারি ছিল, এক্সপেরিয়েন্স খুবই ভাল ছিল আল্লাহর রহমতে।গ্রুপের পোস্ট ফলো করতাম কনসিভ করার পর থেকেই। গ্রুপের পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জেনেছি, শিখেছি। দায়িত্বশীল এবং সবার জন্য অনেক অনেক দু’আ।আমি দেশের …
অতিরিক্ত ওজন নিয়ে নরমাল ডেলিভারির গল্প
সেপ্টেম্বর এর ১৪ তারিখ আলহামদুলিল্লাহ নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে আমার প্রথম রাজকন্যার মা হলাম। আমার বার্থ স্টোরি শুরুর আগে আমি আমার কনসিভ করার আগের কিছু কথা শেয়ার করতে চাই যাতে আমার মতো যারা একটু মোটা তারা কিছুটা হলেও অনুপ্রাণিত হোন ইনশাআল্লাহ। আমি …