
এনোমেলি স্ক্যান নিয়ে অনেকের অনেক রকম প্রশ্ন থাকে। এটা করা কি জরুরি নাকি, না করলে কোন সমস্যা হবে নাকি, এতে বাচ্চার কোন সমস্যা ধরা পড়লে এটার তাৎক্ষণিক কোন চিকিৎসা আছে নাকি – ঘুরে ফিরে এই প্রশ্নগুলোই বেশি শোনা যায়।
🔺এনোমেলি স্ক্যান কী?
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার কোন শারীরিক ত্রুটি আছে কিনা এটা দেখার জন্য গর্ভাবস্থার ২০ থেকে ২৪ সপ্তাহের মধ্যে সাধারণত যে স্পেশাল আলট্রা স্ক্যান করা হয় সেটাই এনামেলি স্ক্যান।
🔺এটা কী বাধ্যতামূলক?
না, এটা বাধ্যতামূলক নয়। আপনি যদি না চান আপনি এটা বাদ ও দিতে পারেন।
🔺এটা করে লাভ কী?
আল্লাহ না করুক বাচ্চার যদি কোন ত্রুটি থাকে, সেটা যদি আগে থেকে জানা যায় তবে ডেলিভারি প্ল্যান সুবিধা হবে। ত্রুটি অনুযায়ী কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেটা আগে থেকে ঠিক করে রাখা যাবে। মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা যায়। তবে মুসলিম হিসেবে আমাদের জানা জরুরী, বাচ্চার যত বড়ই ত্রুটি থাকুক না কেন, কোন অবস্থাতেই এবরশন করানো যায় না। (মায়ের জীবনের ঝুঁকি থাকলে সেটা আলাদা ব্যাপার)। কোন কারণে যদি আগে থেকে জানা না যায়, তবে ডেলিভারির পর ডক্টর আর রোগীর দুইজনেরই বিচলিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
কিছুদিন আগে একজন মা মেডিকেলে এসেছিলেন এনোমেলী স্ক্যান করাতে। ওনার টুইন প্রেগনেন্সি। পরে ধরা পরলো একটা বাচ্চার মারাত্মক শারীরিক ত্রুটি, আরেকটা বাচ্চা সম্পূর্ণ সুস্থ। বাচ্চার কী কী ত্রুটি এটা যদি সংশ্লিষ্ট ডাক্তার এখন থেকেই জানেন তবে সে অনুযায়ী উনি এখন থেকেই ডেলিভারি প্ল্যান, ডেলিভারির পর ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান করে ফেলতে পারছেন, যেটা হয়তো না জানা থাকলে কিছুটা কঠিন হতো।
আশা করি এনোমেলি স্ক্যান নিয়ে সবার মোটামুটি একটা ধারণা হয়েছে।
ডা: মায়িশা সামিহা
এফসিপিএস (পার্ট ১)
ডাক্তার মডারেটর, রৌদ্রময়ী প্রিনেটাল কোর্স