ব্রেস্টফিডিং এ কি খাবো, কি খাবো না?!
ব্রেস্টফিডিং করা মায়েদের একটা কমন সমস্যা কি খাবো আর কি খাবোনা। বাংলাদেশের মায়েদের মধ্যে অনেক প্রশ্ন বা কনফিউশান থাকে একে ঘিরে।
মায়ের খাবার থেকে আসলেই বাচ্চার কোন সমস্যা হয় কিনা সেরকম কোন সলিড রিসার্চের রেজাল্ট নেই। কেন নেই? কারণ হলো মায়ের খাবার আসলেই বাচ্চাকে এফেক্ট করে কিনা বা করলেও তার স্বরুপ কেমন তার ডাটা কালেকশানের জন্য দরকার হচ্ছে অনেকগুলা নিউবর্ন বেবি এবং তাদের মা। এরপর মাকে বিভিন্ন স্টাইলের ফুড খাওয়ায় দেখতে হবে বাচ্চার রিয়্যাকশান কেমন হয়।
দেখেন এই পুরা ডাটা কালেকশানে সবচেয়ে বেশি সাফার করবে কে?
নিউবর্ন বাচ্চা।
তাই নিশ্চিত ভাবে অমুক অমুক খাবার খেলেই বাচ্চার সমস্যা হবে তা বলা সম্ভব না।
তবে মায়ের কোন খাবারে এ্যালার্জি থাকলে সেইসব খাবার এড়িয়ে যাওয়া ভালো। স্পেসিফিক কোন খাবারে যদি বাচ্চা রিয়্যাক্ট করে তাহলে তা বাদ দেওয়া উত্তম। তবে যদি কোন খাবার খাওয়ার পর বাচ্চার পেটে গ্যাস হয়, বাচ্চা একটু ডিসকম্ফোর্ট ফিল করে তাহলে সেই খাবার বাদ দিতে হবে। তবে শিওর হয়ে নিতে হবে আসলেই খাবারের জন্য হচ্ছে কিনা।
এছাড়াও ক্যাফেইন খুব বেশী না খাওয়া ভালো। বুকের দুধ তৈরিতে আসলেই এফেক্ট করে ক্যাফেইন বা কোন ড্রাগ কারণ তা রক্তে মিশে যায় এবং তা সরাসরি দুধে চলে যায়।
আপনি যদি ব্রেস্টফিডিং করান তাহলে মনে রাখবেন প্রসবের পরের ৬ মাস আপনার বাচ্চা তার শরীরের সব নিউট্রিশন আপনার শরীর থেকেই পাবে। আপনার খাদ্যাভ্যাস আপনার ব্রেস্ট মিল্কের এনার্জি, প্রোটিন, ভিটামিনের পরিমাণ নির্ধারণ করবে। আপনার খাবারে যেন যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফ্যাটি এসিড, ওমেগা-৩ ইত্যাদি থাকে সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন।
এই সময়ে মাকে বেশী বেশী তরল ও রসাল খাবার খেতে হবে। যেমন দিনের প্রচুর পরিমাণে পানি, জুস, দুধ কিংবা স্যুপ, ডাল ইত্যাদি। ব্রেস্টফিডিং এর আগে এক গ্লাস পানি বা দুধ খেয়ে নেওয়া ভালো।
বাচ্চা হওয়ার পর প্রত্যেক মায়ের সুস্বাস্থ্য, কর্মক্ষমতা এবং শিশুর দেখভালের জন্য সুষম খাবার খুব জরুরী ভূমিকা পালন করে। আপনি ব্রেস্টফিডিং করান কিংবা ফর্মূলা খাওয়ান, স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাবার সব মায়েরই প্রয়োজন। তাই সবসময় সুষম খাবার মেইন্টেইন করে চলুন।
– নাইমা আলমগীর
প্রিনাটাল, প্যারেন্টিং ও সলিড কোর্স ইন্সট্রাকটর, রৌদ্রময়ী স্কুল