প্রেগন্যান্সিতে স্বাস্থ্যকর খাবার ওট্স
আমাদের প্রিনাটাল কোর্সের স্টুডেন্ট মায়েদের থেকে মাঝে মাঝে আমরা প্রশ্ন পাই যে প্রেগন্যান্সিতে ওটস খাওয়া যাবে কি না। তো এই নিয়েই আজ কিছু কথা বলতে চাই।
প্রেগন্যান্সিতে ওটস শুধু খাওয়া যাবে তাই না, অবশ্যই খাওয়া যাবে, আলহামদুলিল্লাহ ! এটা আপনার প্রয়োজনীয় ক্যালোরি পূরণে অবদান রাখবে ও এর পর্যাপ্ত কার্বোহাইড্রেট আপনাকে সহজেই এনার্জি দিবে। তাই মর্নিং সিকনেস কাটাতেও সকালে ঘুম থেকে উঠে ওটস খাওয়া আপনাকে সাহায্য করতে পারে। ওটস দীর্ঘসময় পেটে থাকে। এটা কমপ্লেক্স কার্ব তাই জেস্টেশনাল ডায়বেটিসের ঝুঁকি কমায়। ফাইবারসমৃদ্ধ তাই কন্সটিপেশন ও হমোরয়েডের জন্য উপকারী।
প্রতি ১০০গ্রাম ওটসে আছে ১৩গ্রাম প্রোটিন, ৪.২৫ মিলিগ্রাম আয়রন যা প্রেগন্যান্সিতে আপনার প্রতিদিনের প্রোটিন ও আয়রনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সাহায্য করবে। এছাড়াও এতে আছে ক্যালসিয়াম, ম্যগনেসিয়াম যা আপনার শিশুর হাড় ও দাত গঠনে ভূমিকা রাখবে। এতে আরো আছে ফোলেট (ফলিক এসিডের প্রাকৃতিক রূপকে ফোলেট বলা হয়) যা প্রথম ট্রাইমেস্টারে আপনার ডায়েটে অবশ্যই থাকতে হবে। প্রেগন্যান্সি প্ল্যানিং-এর সময়ও ফোলেটসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত, তাই আগে থেকেই ওটস খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
দিনে এক বেলা আপনি ওটস খেতেই পারেন। সেটা সকালে বা রাতে হতে পারে। কিভাবে খাবেন? দুধে রান্না করে কলা, কিশমিশ, বাদাম ও অন্যান্য মৌসুমী ফল মিশিয়ে খেতে পারেন। ওটস দিয়ে খিচুরি রান্না করেও খাওয়া যায়। ডিম ভাজি বা গোশতের তরকারির সাথে বেশ লাগে!
তবে বিশেষ কোনো কারনে আপনার খাবারে রেস্ট্রিকশন থাকলে ডাক্তারের সাথে কথা বলে জেনে নেবেন ওটস খেতে আপনার কোন অসুবিধা আছে কিনা।
রাবেয়া রওশীন,
প্রিনাটাল ইন্সট্রাক্টর
রৌদ্রময়ী স্কুল