দৌলা ডায়েরী – ১
ফেব্রুয়ারী ২০২২!!
দৌলা সার্ভিস শুরু করার পর মনে হচ্ছে হঠাত করেই খুব ব্যস্ততা বেড়ে গেছে! সময় নিয়ে আপুদের ফর্ম দেখে শিডিউল দিয়ে প্রত্যেকের সাথে নিজ নিজ পরিস্থিতি অনুযায়ী কথা বলা আসলেই সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
এর মাঝে ফেব্রুয়ারিতে দুইজন আপুর ডেট ছিল। ৫ম ব্যাচের সালমাতুস সাদিয়া আপুর জানুয়ারিতে ৩৮ সপ্তাহে ন্যাচারালি পেইন উঠে ২য় বাবু হয়, আলহামদুলিল্লাহ। আমার সার্ভিস নেয়া যখন শুরু করেন তখন আপুর বেবি অবলীক পজিশনে ছিল। এর মানে হচ্ছে মাথা তলপেটের নিচের দিকের এক পাশে আর পা উপরের পেটের আরেক পাশে। দ্রুত spinningbabies.com ওয়েবসাইটটা একটু স্টাডি করে কিছু ব্যায়াম সাজেস্ট করি আপুকে। আপু খুব সিনসিয়ারলি সেগুলো করেন।
যদিও আপুর ১ম বাবু নরমাল ডেলিভারিতে হয়েছে কিন্তু লেবার প্রসেস নিয়ে জানতেন না। তাই এবারের অভিজ্ঞতা নিয়ে উনি বলেন আকাশ আর পাতাল পার্থক্য যেন, আলহামদুলিল্লাহ! সারা রাত বাসায় থেকে সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালে যান আর অল্প সময়ের মাঝেই বাবু হয়। সেকেন্ড টাইম মা হিসাবে এপিশিওটোমি না দিলেও হতো। বিশেষ করে মা নিজে যেহেতু নলেজ গেইন করেছেন। কিন্তু নিয়মমাফিক হাসপাতালে দিয়েই দেয়। ডেলিভারির পর ১ সপ্তাহ যোগাযোগ রাখা সার্ভিসের অংশ, তাই জেনেছি এটার জন্যই আপুর বাড়তি কষ্ট হয়েছে পরে, যেটা না দিলে ডেলিভারির পরের এই কষ্টটা পোহাতে হতো না। বাজে টিয়ার হতে পারে বলে যে এটা দেয়া হয় অথচ বাজে টিয়ার হওয়ার নিশ্চয়তা কিন্তু নেই! এদিকে এপিশিওটোমি দিলে গ্যারান্টিড একটা ব্যাথা থাকেই।
রাবেয়া রওশীন
প্রিনাটাল ইন্সট্রাক্টর ও ভার্চুয়াল দৌলা, রৌদ্রময়ী স্কুল