রৌদ্রময়ী দৌলা সার্ভিস ও অনলাইন ক্লিনিক যখন পাশাপাশি
- Posted by MNCC Moderator
- Categories Blog, Doula Service, Rabeya Rowshin
- Date October 20, 2023
- Comments 0 comment
একবার এক আত্মীয়ার খুব কাছে বসে প্রবাসে তার লেবারের গল্প শুনেছিলাম। বোনটা একটা non English speaking country তে ছিল। সে ওই দেশের ভাষা বলতে বা বুঝতে পারত না। প্রেগন্যান্সির শেষ দিকে কোন একটা কম্পলিকেশন হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাকে ভর্তি করে নেয়ার পর রাতটা বাসায় কাটানোর জন্য তার হাজব্যান্ড চলে যায়।
এর মাঝে কোন পূর্বাভাস ছাড়াই রাতে তার লেবার শুরু হয়। এটা রৌদ্রময়ী প্রিনাটাল কোর্স চালু হওয়ার আগের কথা। বোনটার কোন প্রিনাটাল নলেজ ছিল না। এটা যে লেবার পেইন সে নিজে বুঝতে পারেনি। তার একটা ব্যাথা হচ্ছে এটা মিডওয়াইফদের বোঝাতে চাচ্ছিল। তারাও বার বার ব্যাথাটা কেমন, এমন নাকি তেমন ইত্যাদি জিজ্ঞেস করে বুঝতে চাচ্ছিল। কিন্তু ভাষাগত ব্যবধানের কারণে কেউই কাউকে ভালো করে বুঝতে পারছিল না।
এভাবে রাত বাড়ার সাথে সাথে তার পেইনও বাড়তে থাকে। সেই নাজুক সময়ে সে খুবই অসহায় বোধ করে। তার হাজব্যান্ড বাসায় ফোন সাইলেন্ট করে ঘুমাচ্ছে, দেশেও তখন গভীর রাত। বোনটা বলছিল, “আমি এখানে এই অবস্থায় আছি, অথচ আমার প্রিয়জনরা সবাই কত দূরে ঘুমিয়ে আছে। কেউই জানে না আমি কিসের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি!” এই কথায় আমারও চোখ ভিজে আসে। তার গল্পটা শেষ হলে আমি তাকে একটা টাইট হাগ দেই। লেবার পেইনের মতো একটা নাজুক সময়ে সম্পূর্ণ অপরিচিত পরিবেশে থাকাটা পরিস্থিতিকে আরো দু:সহ করে তোলে অবশ্যই।
গল্পটা গতকাল আবারও মনে পড়ল। কারণ এই পর্যন্ত প্রবাসী বেশ কিছু দৌলা ক্লায়েন্টকে সার্ভিস দিলেও গতকালই একজনের সাথে প্রথম ফোন মিটিং হলো যিনি একটা আরব দেশে আছেন। তিনি তাদের ভাষা বোঝেন না, আর তারাও আরবীতেই বেশিরভাগ কথাবার্তা বলেন। প্রেগন্যান্সিও যদি এমন একটা জায়গায় হয় তাহলে সেটাও খুব অসহায় একটা পরিস্থিতি। উনার আগের প্রেগন্যান্সিও ওই দেশে ছিল, কোন প্রিনাটাল নলেজ ছিল না, ফলস্বরূপ প্রেগন্যান্সি ও পোস্ট প্রেগন্যান্সিতে খুবই খারাপ এক্সপেরিয়েন্স ছিল উনার। এবার ২য় প্রেগন্যান্সি প্ল্যানিং এর সময়ই রৌদ্রময়ী প্রিনাটাল কোর্স করেন।
আমার ক্লায়েন্ট জানালেন যে উনার প্রেগন্যান্সি ডায়বেটিস এসেছে শেষ দিকে। কিন্তু এই নিয়ে সঠিক দিকনির্দেশনা কী হবে উনি বুঝতে পারছেন না। উনি আল্ট্রা রিপোর্ট, প্রেস্ক্রিপশন কিছুই ঠিক মতো বুঝতে পারেন না ভাষা না বোঝার জন্য। উনার সাপ্লিমেন্ট শেষ হয়ে গেছে কিন্তু কোন কাগজে ওটা লেখা আছে বুঝতে পারছেন না। মানে, আমার পুরা মাথা নষ্ট অবস্থা উনার কথা শুনে!
আমার দিক থেকে কিছু দিকনির্দেশনা দিয়ে আমি সাথে এটাও বললাম যে রৌদ্রময়ী অনলাইন ক্লিনিক চালু হয়েছে, আপনি দ্রুত Mother and Child Care BD পেইজে ইনবক্স করে ডা: ফাতেমা ইয়াসমিন আপুর অনলাইন কন্সাল্টেশন নিন। আপু জেস্টেশনাল ডায়বেটিসের উপর বিশেষজ্ঞ। উনি আপনাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিবেন। যদি ডায়েট চার্ট লাগে তাহলে রৌদ্রময়ী অনলাইন ক্লিনিক থেকেই একজন নিউট্রিশনিস্ট এর কন্সাল্টেশনও নিতে পারবেন। প্রবাসী মায়েদের জন্য বিশেষ করে এমন অনলাইন কন্সাল্টেশনের সুবিধা তাদের প্রেগন্যান্সি জার্নিতে অনেক হেল্প করবে ইনশাআল্লাহ।
আলহামদুলিল্লাহ দৌলা সার্ভিস দিতে গিয়ে অনেকবার এভাবে ডাক্তারের অনলাইন কন্সাল্টেশনের জন্য দেশী ও প্রবাসী ক্লায়েন্টদের বলতে হয়েছে। তবে অনেকসময় কোন নির্দিষ্ট ডাক্তারকে রেফার করতে পারতাম না। আলহামদুলিল্লাহ এখন রৌদ্রময়ী অনলাইন ক্লিনিক আছে, যেখানে সহজেই ক্লায়েন্টদের রেফার করতে পারছি। এক জায়গায় সিনিয়র গাইনী ডাক্তার থেকে শুরু করে নিউট্রিশনিস্ট, ডেন্টিস্ট সকলেই আছেন। সাধারণ সমস্যার জন্যও আছেন এমবিবিএস ডাক্তার।
দৌলা সার্ভিস দেয়া এখন আরো সহজ হবে রৌদ্রময়ী অনলাইন ক্লিনিক আসায়, ইনশাআল্লাহ!
রৌদ্রময়ী অনলাইন ক্লিনিকের শিডিউল আর বিস্তারিত জানতে পেইজে ইনবক্স করুন। বর্তমানে ডিস্কাউন্ট চলছে।
রাবেয়া রওশীন
ভার্চুয়াল দৌলা, রৌদ্রময়ী স্কুল
Other post
You may also like
রংধনু রঙের খেলনাগুলো
ছোটবেলায় আমাদের নিকট প্রকৃতির সবচেয়ে আকর্ষণীয় যে বস্তুটি ছিলো, তা হলো সাত রঙের রংধনু। কারণ অধিকাংশ সময় বৃষ্টির দেখা মিললেও, বৃষ্টির পরের রংধনুর দেখা মিলতো খুবই কম। তাই যে জিনিস খুব কম দেখা যায়, সে জিনিসের প্রতি আকর্ষণও থাকে সবচেয়ে …
যৌথ পরিবারে নতুন মায়ের জন্য টিপস
১।অনেকগুলো একক পরিবার যখন একসঙ্গে থাকে তখন সেটা একটা প্রতিষ্ঠানের মত হয়ে যায়, সেখানে সবার আলাদা কিছু দায়িত্ব থাকে এবং ছকে বাঁধা কিছু নিয়মও থাকে। একক পরিবারে আমরা নিজের মত কিছু ফ্লেক্সিবিলিটি পাই যা যৌথ পরিবারে অনেক সময়ে পাওয়া যায় …
ছোট বাবুর মায়ের মানসিক স্বাস্থ্য – আসুন সচেতন হই
খাদিজা তার এক মাস বয়সী মেয়ে আমিনাকে কোলে নিয়ে ঘরের মৃদু আলোয় বসে ছিলেন। রাত বাজে আড়াইটা। জানালা ভেদ করে চাঁদের মৃদু আলো ঘুমের কুয়াশা ভেদ করে তার মুখে এসে পড়ল। হঠাৎ থেমে থেমে আমিনার কান্নার শব্দ বাড়ে এবং কমে। …