
মৌসুম পরিবর্তনের এই সময় যদি আপনার বাবুর যদি ঠান্ডা লেগে যায় বার হাঁচি দিতে থাকে বার বার নাক দিয়ে সর্দি আসে তাহলে তাৎক্ষণিক ভাবে নিচের টিপস গুলো ফলো করতে পারেন।
🔹 ছোট্ট পায়ে একজোড়া মোজা পরিয়ে দেন। মোজাটা যাতে কমফোর্টএবল হয়৷ টডলার রা সাধারণত মোজা পরতে চায় না। সেক্ষেত্রে দেখতে সুন্দর কালারফুল মোজা দিয়ে দেখতে পারেন। দেখবেন হাঁচি টা কমে আসবে ইনশাআল্লাহ। আর খেয়াল রাখবেন বাবু ঘামছে কিনা।
🔹 তেলে কালোজিরা রসুন ফোড়ন দিয়ে সেই তেলটা হাত ও পায়ের তালুতে, পিঠে হালকা হাতে মালিশ করে দিতে পারেন। খুব বেশী তেল দিয়ে চপচপে করে দিবেন না। খাঁটি সরিষার তেল বা জয়তুনের তেল নিতে পারেন।
🔹 ঠান্ডা লেগে গেলে বাচ্চারা সাধারণত খেতে চায় না৷ এসময় লেবুর শরবত, ভিটামিন সি জাতীয় ফল বা জুস দিতে পারেন। ১ বছরের কম হলে জুস দিবেন না। হাতে এক টুকরা কমলা বা মালটা দিয়ে দেন। নিজে যতটুকু খায়। চিকেন সুপ তৈরি করে দিতে পারেন। আমি যেভাবে তৈরি করি সেটার রেসিপি বলে দিচ্ছি।
উপকরন সমুহ :
মুরগীর হাড় সহ – ২ টুকরা
গাজর- ১ টার অর্ধেক
পেঁপে – ১/২ কাপ ( গাজরের সম পরিমান)
পেঁয়াজ – ছোট ১ টা
আদা রসুন পেস্ট- ১/২ চা চামচ
গেলমরিচের গুড়া ২ চিমটি
লবন স্বাদমত ( ১ বছরের কম হলে লবন দিবেন না)
লবঙ্গ – ২টা
তেজপাতা – ১ টা
বাটার/ ঘি – ১ টেবিল চামচ।
ডিম – ১ টা
প্রস্তুত প্রণালী :
১। প্রথমে প্যানে বাটার দিয়ে এরপর মুরগী, সবজী মসলা গুলো একেএকে দিয়ে একটু হালকা ভেজে নিবেন।
২। ২ কাপ পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিবেন।
৩। গোটা মসলা তুলে নিয়ে মিশ্রণ টি ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
৪। বেল্ড করার পর জ্বাল দিয়ে শেষে একটা ডিম ভেঙে দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিতে পারেন। লেবুর রস দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন। ১ বছরের কম হলে ডিম স্কিপ করতে পারেন বা শুধু কুসুম এড করতে পারেন।
🔹বাবুকে নিয়ে রোদে কিছুক্ষণ ঘুরে আসতে পারেন। এতে করে বাবু ভিটামিন ডি পাবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ডি খুব জরুরি।
৩ দিনেও যদি অবস্থার উন্নতি না হয় বা ১ সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও যদি বাবু সুস্থ না হয় অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
তবে আমি বলবো ওষুধ ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে নিজে একটু ন্যাচরাল উপায়ে চেস্টা করে দেখেন না বাবুটা যদি এমনিতেই যদি ভালো হয়ে যায়। ছোট বয়সে বাবু দের খুব অল্প তে ঠান্ডা সর্দি লেগে যায়। আল্লাহ আমাদের শরীর এমন ভাবে বানিয়েছেন একবার এক ধরনের জীবাণু দিয়ে সংক্রমণ হলে শরীরে এই ব্যাপারে একটা তথ্য জমা থাকে। পরবর্তী তে সেই জীবাণু আক্রমন করলে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সেই জীবাণু প্রতিরোধ করতে পারে, শরীরও কোনরকম অসুস্থ হয় না। এভাবে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। এন্টিবায়োটিক খুব প্রয়োজন না হলে না দেওয়া উচিত নয়। ঠান্ডা সর্দির ওষুধগুলো ছোট বাবুদের রেকমেন্ড করা হয় না। এগুলোর পুরাপুরি সারিয়ে তোলার কোন ক্ষমতা নেই। শুধু লক্ষ্মণ গুলো চাপিয়ে রাখে। শরীরকে একটু সময় দেন, বাবুর একটু যত্ন নিন। দেখবেন বাবু ওষুধ ছাড়াই আলহামদুলিল্লাহ ভালো হচ্ছে।
ফারইয়াব হাসান
নিউট্রিশনিস্ট
দৌলা, রৌদ্রময়ী স্কুল