দৌলা ডায়েরী – ৬
জুন, ২০২২।
৭ম ব্যাচের ডাঃ তাসমিম জামান অনন্যা আপু, আমার দৌলা সার্ভিস নিয়েছেন ।৭ দিন আগে ৩৭ সপ্তাহে আপুর সিজারে বাবু হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। আপুর বেবি ব্রিচ ছিল, ৩০ সপ্তাহ থেকে ব্রিচ বেবি ঘোরানোর জন্য ব্যায়াম করছিলেন নিয়মিত। ৩৭ সপ্তাহেও যখন ঘোরেনি, তখন পরামর্শ চাইলে আমার মেন্টর আইশা আল হাজ্জার বলেন ৪% ব্রিচ বেবি ঘুরে না, হয়ত কোন কারণ আছে বেবি না ঘোরার এবং হয়ত তার এই পজিশনে থাকাই উচিত।
ডা: তাসমিম আপু ফুল টাইম ডিউটি করেছেন, পুরো ৩০ রোজা রেখেছেন। রমাদানের পরের চেক আপে হঠাৎ বেবির গ্রোথ, ফ্লুইড লেভেল সব কম আসে। আপু মন খারাপ করেন আর রেস্টে চলে যান, এবং ৩৭ সপ্তাহে আমাকে জানান যে ইমার্জেন্সি সিজারে যাচ্ছেন, উনার বাই-কোরনুয়েট ইউটেরাস ছিল (জরায়ুর শেইপ হার্টের মতো), যা আগে উনারা জানতেন না আর এই কারণে বেবি গ্রো করতে পারছিল না। সিজারের ডিসিশন নেয়ার পর আপুকে জিজ্ঞেস করেছিলাম উনার মানসিক অবস্থা কেমন, আলহামদুলিল্লাহ আপুর উত্তরে আমিও অনেক শান্তি পেয়েছি, বলেছেন যে অনেক রিলিভড লাগছে, পুরো ফ্যামিলি উনার সাথে আছে!
জেন্টল সিজারিয়ানের অপশনগুলোর কথা আপুকে আগেই বলেছিলাম, হাজব্যান্ড সাথে থাকার সুযোগ ছিল উনার যেহেতু উনার হাজব্যান্ডও ডাক্তার, ৩০ মিনিট বাবুর সাথে মায়ের স্কিন টু স্কিন কনটাক্ট করানো হয়, এরপর বাবুর NICU প্রয়োজন হয়। মা ও বাবু ভালো আছে পরে আপু জানিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ!
সবরকম চেষ্টার পরও কিছু কিছু ক্ষেত্রে নরমাল ডেলিভারি সম্ভব হয় না এবং সেটাই নিশ্চয়ই কল্যাণের। এই সব ক্ষেত্রে জেন্টল সিজারিয়ানের অপশনগুলো এপ্লাই করার কথা বলা যায়, যতটুকু আমাদের দেশে সম্ভব হয়।
রাবেয়া রওশীন
ভার্চুয়াল দৌলা, রৌদ্রময়ী স্কুল