প্রিনাটাল কোর্স ও দৌলা সার্ভিস পেয়ে আমি এম্পাওয়ার্ড ফীল করেছি
আপন জনের অভাব /হেল্পিং হ্যান্ডের অভাব ছিলো তাই কন্সিভ করতে চ্যালেঞ্জ মনে হচ্ছিল। বেস্ট ফ্রেন্ড এর সাথে বিষয়টা শেয়ার করি, তখন কিছুদিন এর মধ্যে সে হামিদা মুবাশ্বিরা আপুর ওয়েবিনার এর মাধ্যমে জানতে পারে প্রিনাটাল কোর্স সম্পর্কে। তারপর কোর্সের ইন্সট্রাক্টর রাবেয়াপুর বক্তব্যটুকু আমাকে রেকর্ড পাঠিয়ে উৎসাহ দেয়। আমিও রেকর্ড শুনে আমানি বার্থ বইটা পড়তে আগ্রহ প্রকাশ করি। হাজবেন্ড এর সাথে পরামর্শ করে রাবেয়াপুর ইনবক্সে মেসেজ করি। আপু আমাকে জানালেন বইটা বাংলাদেশ এ হার্ডকপি পেতে আরো বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তাই প্রিনাটাল কোর্সে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন।
আমরা হাজবেন্ড ওয়াইফ খুশি হয়ে কোর্সের ষষ্ঠ ব্যাচের স্টুডেন্ট হই আলহামদুলিল্লাহ। এর পর কোর্সের শিক্ষানুযায়ী নিউট্রিশন মেইনটেইন করার সর্বোচ্চ ট্রাই করি। যেহেতু কোর্সটির মূল্য নামমাত্র। কেননা কোর্সের জ্ঞান, নোট এবং আপুদের পরিশ্রম, এবং মিস্টি ব্যবহার এর তুলনায় খুবই সহজলভ্য হওয়ায় আলহামদুলিল্লাহ কোর্সের স্টুডেন্ট হতে পারি।
নিউট্রিশন মেইনটেইন করা ব্যয়বহুল হলেও আপুরা সুন্দর করে অল্টারনেটিভ বলে দিতেন আলহামদুলিল্লাহ এজন্য সহজেই
নিউট্রিশন এর চাহিদা পূরণে সক্ষম হই।
ফিজিক্যালি একটিভ থাকার জন্য নিয়মিত প্রেগ্ন্যাসির ব্যায়াম এবং হাটাহাটি+রান্নাবান্না, পড়াশোনা, খাওয়া দাওয়া, নামাজ, যিকির সব চালিয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।
ডাক্তার খোঁজ করার সময় ভালো রিভিউ আছে এমন গাইনী ডাক্তার খুজেছি পাশাপাশি মাথায় রেখেছিলাম তিনিই আমার সব নয়। ডাক্তার যদি আমার শারীরিক অবস্থানুযায়ী সাজেশন না করেন তবে আমি তো কোর্সের জ্ঞান থেকে বুঝতে পারবো তিনি কি সাজেস্ট করছেন সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিবো। প্রয়োজনে ডাক্তার চেঞ্জ করবো। লাস্ট দিকে গিয়ে আমি আমার ডাক্তার এর সাথে আলোচনা করলে উনি যা বললেন তাতে বুঝলাম উনি নরমালের তুলনায় সিজারের ঝামেলা কম হয় এমন একটা কথা বুঝাতে চেয়েছিলেন। আবার ব্যয়বহুল হস্পিটাল গুলো সাজেস্ট করেছিলেন। তাই ডাক্তার চেইঞ্জ করতে বাধ্য হই। এরপর অনেক নরমাল ডেলিভারি কৃত মায়েদের পরামর্শে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাতায়াত শুরু করি। সেখানের একজন স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করি। এমনকি তার আশ্বাসে সেখানেই ডেলিভারির সিদ্ধান্ত নিই।
আমার ডেলিভারি ডেট ছিল ৩০ মে। আবার আমার কামিল (মাস্টার্স) লাস্ট এক্সাম ছিলো ২৯ মে। অন্যান্য এক্সাম গুলো মে মাসের শুরু থেকে দিয়েছি কিন্তু লাস্ট এক্সামটা নিয়ে টেনশনে ছিলাম। আমার আব্বু অলরেডি বলে দেয় এই বছর এক্সাম দিওনা পরের বছর দিও। কিন্তু আমার মন মানছিল না। সব এক্সাম দিয়েছি একটার জন্য আগামী বছর পুনরায় ফরম ফিলাপের ঝামেলা আবার সব এক্সাম দেয়া কষ্টকর। তাই সিদ্ধান্ত নিই এক্সাম দিবো ইনশাআল্লাহ।
আমার লেবার পেইন শুরু হয় ২৭ তারিখ রাত ২টা থেকে। হাল্কা পেইন হচ্ছিল। ফজরের নামাজের সময় পিচ্ছিল আঠালো সাদা পানির মতো কাপড়ে লাগে। আর পেইন একটু একটু বাড়তে থাকে। আমি খেজুর খাই, পানি খাই সব খাবার যতটা সম্ভব খেতে থাকি। পেইন লেটেন্ট ফেযেই মানে অল্প পেইন থাকতেই ২৭ তারিখ কেটে যায় আর ২৮ তারিখে বিকেল থেকে পেইন বাড়তে শুরু করে। আমি ভয় পেয়ে যাই।
আমার অনেক কাংখিত দৌলা সার্ভিস এর দৌলা রাবেয়া রওশীন আপুকে বিষয়টা জানাই। আপুকে বলি এই অবস্থায় এক্সাম দিতে চাই। সেটা সম্ভব কিনা। আপু জানালেন সকাল হতে হতে পেইন যদি ম্যানেযেবল হয় তাহলে এক্সাম দিতে। নয়তো টিচারের সাথে কথা বলতে। আপুর পরামর্শে আমি আমার টিচার এর সাথে কথা বলি। উনি জানালেন ৪ ঘন্টা এক্সাম না দিয়ে ১ ঘন্টা অন্তত এক্সাম দিতে এতে রেজাল্ট হয়তো একটু খারাপ হবে। কিন্তু পুনরায় সব এক্সাম দিতে হবেনা। সিদ্ধান্ত নিই এক্সাম দিতে যাবো।
সকাল ১০ টায় এক্সাম। এদিকে পেইন বাড়তেই থাকে আর আমি দোয়া যিকির এবং পড়াশোনা চালিয়ে যাই। হাজবেন্ড আমার খাওয়া দাওয়া এবং ম্যাসাজ এর টেক কেয়ার করছিলেন আলহামদুলিল্লাহ। তিনিও রাবেয়াপুর সকল পরামর্শ আমার কাছ থেকে শুনছিলেন এবং লেবারের নোটগুলো রিভিশন দিচ্ছিলেন। এদিকে এক্টিভ লেবার শুরু হয়ে যায়। আমি পেইন আসলে “ইয়া সালামুন”, “ইয়া আল্লাহ” এসব যিকির করতে থাকি অর্থের দিকে খেয়াল করে এবং দোয়া করি আল্লাহ এক্সাম শেষে আমার বেবি আসুক দুনিয়ায়। সাড়ে ৯ টার দিকে পেইন একটু কম অনুভুত হয়। ১০ টা-২টা পর্যন্ত টানা ৪ ঘন্টা এক্সাম দেই, এর মাঝে ৪/৫ বার পেইন আসছে-গেছে। কিন্তু সেদিকে খেয়াল রাখার সময় নেই। পেইন নিয়েও গত রাতে যা পড়েছি আলহামদুলিল্লাহ সব কমন প্রশ্ন এসেছে। তাই পুরো এক্সাম দেয়ার লোভ সামলাতে পারিনি, ৪/৫ বার পেইন আসলে বেঞ্চ থেকে উঠে উপুর হয়ে আল্লাহ আল্লাহ করেছি। এর পর এক্সাম দিয়ে শেষ করে প্রচন্ড প্রস্রাবের চাপ আসে। আমি অনেক কষ্টে প্রস্রাব শেষে হাজবেন্ড এর সাথে বাসায় রওয়ানা দেই।
গাড়িতে পেইন পুনরায় অসহ্য রকম বাড়তে থাকে। আমি দুয়া ইউনুস এবং যিকির চালাতে থাকি, পানি-খেজুর-জুস খাই। ৬ তালা বেয়ে উপরে উঠে কোনোরকম বোরকা হিজাব ছেড়ে রেস্ট নেই, খাবার খাই আর খুশিতে রাবেয়াপুর কাছে পরীক্ষাসহ পেইন এর সার্বিক অবস্থা বলি। আপু বলেন গোসল করে খেয়ে একটু ঘুমানোর ট্রাই করতে অথবা রেস্ট নিতে, পরে উঠে বার্থ বল এক্সারসাইজ সহ কিছু লেবারের এক্সারসাইজ করতে।
আমার আর ঘুম আসেনা। এপাশ -ওপাশ করে ঘুম ছাড়া রেস্ট নেই এবং লেবারের নোট রিভিশন দেই। আছরের নামাজ শেষে এক্সারসাইজ শুরু করি। মাগ্রীবের নামাজ অনেক কষ্টে পেইনসহ পড়ি। পেইন এর কন্ট্রাকশন গুলো মাপতে শুরু করি এবং আপুকে জানাই। এদিকে আমার বড় বোন চলে আসে, আমার এক বড় চাচি আমার কাছে আসে। তারা আমাকে হাসপাতালে যাওয়ার অনুরোধ করে। আমি তাদের বুঝিয়ে বলি।
এশার নামাজের ফরজটুকু অনেক কষ্টে দাড়িয়ে আদায় করি বাকিটা বসে বসে পড়ি। হাজবেন্ড ম্যাসাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন এবং আমার খাওয়া দাওয়াসহ মানসিক সাহস যোগাচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে ১০-১১টার দিকে পেইন এর কন্ট্রাকশন বাড়তে থাকে। আমি রাবেয়াপুকে জানাই, আপু আরও কিছুক্ষণ কাউন্ট করতে বলেন। আমি কাউন্ট করি, বার্থ বলে হিপ রোটেট করি পেইন এলে। এক পর্যায়ে জানালার গ্রিল ধরে দাড়িয়ে টানতে থাকি অসহ্য পেইনে আর জিকির চলছেই আলহামদুলিল্লাহ।
পেইন ম্যানেজ করতে করতে এক পর্যায়ে ক্লান্ত হয়ে যাই। পেইনের মাঝে যখন একটু বিরতি আসছিল ২/৩ মিনিট এর আমি নিজের অজান্তে ঘুমোচ্ছিলাম। আবার ২/৩ মিনিট পর তীব্র ব্যাথায় “আল্লাহ, আল্লাহ” করে উঠে যাই, কিছুক্ষন জিকির করি আবার ২/৩ মিনিট ঘুমাই। হাজবেন্ড এবার কন্ট্রাকশন এর হিসেব করে আমাকে বললেন কষ্ট করে আপুকে জানাতে। আমি আপুকে জানাই, তখন রাত ২টা। আপু বলেছেন হসপিটালে যেতে। আমি ভয় পাচ্ছিলাম হাজবেন্ডকে ওখানে গিয়ে কাছে পাবোনা তাই। হাজবেন্ড বললেন এই বিষয়টাও রাবায়াপুকে জানাতে।
আমি আপুকে কল করি আপুর সাথে কথা বলতে বলতে আবার পেইন আসে, আমি আপুকে লাইনে রেখে ডীপ ব্রিদীং করি, ধীরে ধীরে জিকির করি, পেইন চলে গেলে আবার কথা বলি। আপু যথেষ্ট সাহস দিয়ে বলেন আমি একাই পারবো। তারপর গাড়ি কল করি, ৬ তালা বেয়ে নামি, আমার বোন, চাচি এবং হাজবেন্ড ব্যাগগুলো নিয়ে গাড়িতে উঠে। আমি আমার হাজবেন্ডকে বলি বার্থ বল সাথে নিতে যাতে হসপিটালে গিয়ে প্রয়োজনে এক্সারসাইজ করতে পারি।
হস্পিটালে গেলে ডিউটিরত ডাক্তার আমার পিভি চেক করে বলেন সম্পূর্ণ ডায়ালেটেড। অবাক হয়ে জিগ্যেস করেন কততম প্রেগ্ন্যাসি, আমি জানাই ফার্স্ট, উনি বলেন এতো দেরি কেন করেছি, এতো সাহস কেন দেখিয়েছি ইত্যাদি। ৫-৬সেমি ডায়ালেট হলেই আজকাল মেয়েদের স্যালাইনের মাধ্যমে পিটোসিন দিয়ে ব্যাথা বাড়িয়ে এপিসিওটমি দিয়ে ডেলিভারি করানো হয়। কিন্তু আমি যেহেতু প্রিনাটাল কোর্স থেকে ন্যাচারাল বার্থ সম্পর্কে জেনেছি এবং পেইন ম্যানেজমেন্ট শিখেছি তাই আমি আগেই হাসপাতালে চলে যাইনি। যাই হোক, আমাকে বলে একটা ডেলিভারি কন্টিনিউ তাই একটু পরে আমাকে লেবার রুমে নিবে।
আমি বার্থ বলে বসে হিপ রোটেট করতে থাকি আর পেইনে জিকির করি। নার্স এসে আমাকে বকে কেন ব্যায়াম করছি, কিচ্ছু করতে হবেনা। আমি আমার পরিচিত স্বাস্থ্যকর্মীকে ফোন দিয়ে বিষয়গুলো জানাই। উনি তখন বলেন আপু আমিতো ডাক্তারের কাছে বলেছি উনি আপনাকে সব সুযোগ সুবিধা দিবেন। এর পর আমাকে লেবার রুমে নিয়ে স্যালাইন দিতে চাইলে আমি বলি স্যালাইন পিটোসিন নিবোনা কিন্তু উনারা জানায় এটা উনাদের রুলস এর বাহিরে, এভাবে না হলে উনারা ডেলিভারি করাবেন না। তখন ৩ঃ৫০ বাজে। অনেক রাত এবং ২য় অপশন না থাকায় দৌলা আপু পরামর্শ দিলেন উনাদের কাছে অনুরোধ করতে যেন অল্প পরিমাণে দেয়া হয়। এরপর ৫ মিনিট না যেতেই পেইন বাড়ে। উনারা আমাকে বসে পুশ করতে দেয়না। অনেক অনুরোধ করেছি, উনারা আমাকে শুয়ে পুশ করতে বলে। এভাবে ৩০ মিনিট চলে, আমাকে ডীপ ব্রিদীং করতে দেয়না। দ্রুত এপিসিওটমি দিয়ে ডেলিভারি করেছে। বেবিকে ডিলেইড কর্ড ক্ল্যাম্পিং করেনি, আমার সাথে ক্যাংগারু কেয়ারে দেয়নি। তবু আলহামদুলিল্লাহ আমি নরমাল ডেলিভারিতে আমার সুস্থ ছেলের মা হই। সাথে সাথে ওর বাবা কানে আযান দিয়ে আজওয়া খেজুর দিয়ে তাহনীক করে দোয়া করে। বাবুকে শাল দুধ খাওয়াই। ৩ ঘন্টা পর হস্পিটাল থেকে রিলিজ দিলে বাসায় আসি।
দৌলা সাপোর্ট আমাকে মানসিক ভাবে অন্নেক সাপোর্ট দিয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। আমি সত্যিই এম্পাওয়ার্ড ফীল করি আমার প্রিনাটাল কোর্সের জন্য এবং দৌলা সার্ভিসটির পুরোপুরি ব্যবহারে আলহামদুলিল্লাহ। প্রেগন্যান্সির শেষ সময়ে, লেবার -ডেলিভারিতে ও ইমিডিয়েট পোস্ট পার্টাম পিরিয়ডে আমি যথেষ্ট সহযোগিতা পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। আমার অনাকাঙ্ক্ষিত এপিসিওটমি ও মেডিকেল টিমের মিস বিহেভ ভুলতেও দৌলাআপু আমাকে যথেষ্ট যৌক্তিক সান্ত্বনা দিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ। নরমাল ডেলিভারিতে প্রসবপরবর্তী করনীয় জানিয়েছেন, শারীরিক-মানসিক যত্ন নেয়ার পদ্ধতি বলে দিয়েছেন।
নবজাতকের যত্ন ও ব্রেস্ট ফিডিং জার্নিটা একটু অন্যরকম ছিলো, প্রথম মা হিসেবে একটু বিচলিত হয়ে পরি। ব্রেস্টে দুধ আসতে ৩ দিন সময় লাগে, বেবি শুধু সাক করতে চাইতো, আমি বেবিকে পজিশন মত নিতে পারতাম না তাই নিপল ক্রাক হয়েছিল। দৌলা রাবেয়া আপু তখনো অনেক সুন্দর করে মনে করিয়ে দিয়েছেন এবং সুন্দর পরামর্শ দিয়েছেন। বেবিকে সঠিক পজিশনে সাক করাতে থাকি পরে বেবি আলহামদুলিল্লাহ পর্যাপ্ত দুধ পাচ্ছে। নবজাতকের যত্ন ক্লাসের নোট রিভিশন দিই এবং আমার ছেলের যত্ন নিই, আলহামদুলিল্লাহ দুজনে সুস্থ আছি।
প্রেগনেন্সি, লেবার-ডেলিভারি, পোস্টপার্টাম ও ব্রেস্টফিডিং পিরিয়ডে স্বামীর হেল্প এবং সাপোর্ট ও দুয়া আমার এবং বেবির জন্য অতুলনীয় ভূমিকা রেখেছে।
উপরের প্রতিটি ধাপে রৌদ্রময়ী স্কুল প্রিনাটাল কোর্স থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান আমাকে পদে পদে সাহায্য করেছে। এমনকি প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডে আমি আমার আল্ট্রাসহ সকল রিপোর্ট দেখে নিজেই বুঝতাম আমার কী অবস্থা, কী কী করতে হবে আলহামদুলিল্লাহ। আমার সাহস এবং ডেলিভারির অভিজ্ঞতা দেখে আমার বড় বোনও কোর্সটির প্রতি নিজে আগ্রহী হয়েছে এবং অন্যদেরও উৎসাহ দিচ্ছে।
আল্লাহ এই কোর্সের সাথে জড়িত সকল আপুদের নেক হায়াত দিন এবং জান্নাতুল ফেরদৌসের তাওফিক দিন আমীন।
উম্মে মুহতাদী
প্রিনাটাল কোর্স, ব্যাচ ৬